নাম পাল্টে হত্যা ও ডাকাতি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি নিজেকে পরিচয় দেন সচিব হিসেবে। গত তিন বছরে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ২০ কোটি টাকা। প্রতারণার টাকায় কিনেছেন জমি, তৈরি করেছেন বাড়ি ও দোকান। তার প্রতারণার শিকার মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান ও রাজনীতিবিদ।
আনোয়ারুল ইসলাম সাগর। এটি তার নকল নাম। কাগজে-কলমে তিনি ফোরকান মৃধা। ২০০৩ সালে পটুয়াখালীতে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি তিনি। মামলার পর এলাকা থেকে পালিয়ে সাগর মৃধা নামে বরিশালের বাকেরগঞ্জে গিয়ে শুরু করেন ডাকাতি। ডাকাতি মামলায় জেল খেটে ঢাকায় ফিরে নাম রাখেন আনোয়ারুল ইসলাম সাগর। নিজেকে পরিচয় দেয়া শুরু করেন কখনো উপসচিব কখনো যুগ্ম সচিব হিসেবে। শুরু করেন প্রতারণা।
চাকরি ও বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা করে গত তিন বছরে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ২০ কোটি টাকা। পাঁচ বিঘা জমির ওপর বানিয়েছেন বাড়ি। আছে মার্কেটও।
প্রতারণায় মামলায় সম্প্রতি গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, তার বাড়ি বরিশাল কিন্তু সে উত্তরবঙ্গ মানে রাজশাহীর অনেক মানুষকে প্রতারিত করেছে। সে নিজেকে সচিব হিসেবে পরিচয় দিয়ে ২০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারের ১০ দিন যেতে না যেতেই জামিনে বের হন সাগর। মামলার বাদীদের দিচ্ছেন হুমকিও।