দেশের অর্থনীতি চাঙা রাখছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। অথচ সামাজিক প্রেক্ষাপট তাদের অনুকূলে নেই। সম্পত্তি বেহাত হওয়ার পাশাপাশি দেশে নানাভাবে হয়রানির শিকার সিলেটের প্রবাসীরা। এদিকে প্রবাসীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে প্রতিকারে সচেষ্ট থাকার কথা জানিয়েছেন বিভাগের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, প্রবাসে বসবাসকারী এক কোটির বেশি বাংলাদেশির মধ্যে ২৫ লাখই সিলেট অঞ্চলের মানুষ। ছুটিতে কিংবা নাড়ির টানে প্রতিবছর কমপক্ষে ১০ লাখ প্রবাসী সিলেট আসেন। দেশকে ভালোবেসে অধিকাংশই ব্যাংকিং চ্যানেলে অর্থ পাঠান।
এ বিষয়ে এক প্রবাসী বলেন, ‘আমরা যখন আমাদের আয়ের টাকা দেশে পাঠাই, তখন তা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠাই। যেন আমাদের সরকার উপকৃত হয়। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রবাসীরা কোনো কিছু তেমন একটা পাচ্ছি না।’
এসব প্রবাসী দেশে এসেই বিমানবন্দর থেকে বাড়ি পর্যন্ত নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। তারা নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। ঘরবাড়ি, জমিজমা বেদখল থেকে শুরু করে নানা ঝক্কিঝামেলায় পড়তে হয় তাদের।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক ফারহান মাসুদ খান বলেন, ‘আমাদের মতো প্রবাসীদের হয়রানি করার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। যার প্রভাবটা অনেকটাই নেতিবাচক।’
সিলেট চেম্বার নেতা এবং পুলিশের সিলেট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা এসব অভিযোগের কথা স্বীকার করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন। সিলেট চেম্বার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ে প্রবাসীদের আইনি সহায়তা দিয়ে থাকি। আবার কেউ যদি আমাদের চেম্বারে আসেন, তাহলে আমরা ওয়ানস্টপ সার্ভিস দেয়ার চেষ্টা করি।’
প্রবাসীদের অভিযোগগুলো বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয় বলে জানান সিলেট পুলিশ রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।
অন্যদিকে প্রবাসীদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স যোদ্ধা মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক প্রবাসীকে যদি বিমানবন্দর থেকে শুরু করে যেকোনো জায়গায় অগ্রাধিকার দেয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি বৈধ পথে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।’
এ অবস্থায় প্রবাসীদের অভিযোগ শুনতে দুদক ও জেলা পুলিশ আলাদা হটলাইল চালু করেছে।