বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষক সংকট থাকায় পাঠদান মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কলেজে অপর্যাপ্ত জনবলে শিক্ষাকার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে বর্তমানে শিক্ষার্থী ১২শর মতো। শিক্ষক সংকটে অনেকটা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে কলেজটির পাঠদানে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে শিক্ষকের ২৯০টি পদের মধ্যে শূন্য ১৮৫টি পদ। এ কলেজে ৪২ জন অধ্যাপক থাকার কথা থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন। বেশিরভাগ বিভাগেই সহকারী অধ্যাপকের ওপরের পদে আর কেউ নেই।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. এ কে এম আকবর কবীর জানিয়েছেন, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার আগেই চিকিৎসাক্ষেত্রে নামিয়ে দেয়া হয়। এতে করে রোগীকে কোন সিদ্ধান্ত দিতে বা রোগী সম্পর্কিত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে শিক্ষার্থীদের অনেক বেগ পেতে হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে চিকিৎসক সংকটে বন্ধ হয়ে যায় এখানকার বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ড। এ বিভাগের তৎকালীন চিকিৎসক ডা.এম এ আজাদের আকস্মিক মৃত্যুর পর বিভাগটির চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন প্রায় দুই বছর ধরে কলেজ ও হাসপাতালে অনুপস্থিত। অ্যান্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলিক বিভাগে অধ্যাপক ও সহযোগী অধ্যাপক পদ শূন্য। পাশাপাশি সহকারী অধ্যাপক পদের ডা. সৈয়দ আবদুল কাদের প্রায় দেড় বছর ধরে অনুপস্থিত থাকায় এ বিভাগে আর কেউ বর্তমানে নেই।
এছাড়াও কলেজের নিউরো সার্জারি, ক্যান্সার, মেডিসিন, গাইনিসহ গুরুত্বপূর্ণ ৫৪টি বিভাগে কোন অধ্যাপক নেই। এই অবস্থায় শিক্ষাকার্যক্রম নিয়ে হতাশ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী বলেছেন, তারা শিক্ষক স্বল্পতার এ সমস্যার দ্রুত অবসান চান।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মুনিরুজ্জামান শাহিন বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোতে অধ্যাপক না থাকায় কলেজটিতে এখনো এমডি এবং এমএস কোর্স চালু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো জানিয়েছেন, শিক্ষক সংকটের বিষয়ে বার বার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে জানানো হচ্ছে।