ফাইল ছবি
হারের বৃত্ত ভেঙে বের হতেই পারছে না বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ‘বাংলা ওয়াশ’ ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটে-বলে ব্যর্থ বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচে কিছুটা ভালো করেছে বটে, তবে তা ম্যাচ জেতার জন্য পর্যাপ্ত হয়নি। জয়ের দেখা না পেলেও দলের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নেয়া মুশফিকুর রহিম।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজটা ছিল বাংলাদেশের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করার শেষ সুযোগ। বিশ্বকাপের ভেন্যু অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের সঙ্গে বেশ মিল থাকায় নিউজিল্যান্ডের মাঠে ভালো পারফরম্যান্স করে আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ও টিমের সেরা কম্বিনেশন খুঁজে বের করাটাই ছিল এই সিরিজের লক্ষ্য। সিরিজে জয় না পেলেও শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিং ডিপার্টমেন্টে কিছুটা হলেও উন্নতি লক্ষণীয়। টানা দুই ম্যাচে ১৬০-এর বেশি রান করেছে টাইগাররা।
টানা দুই হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে না পারা লিটন দাসও শেষ ম্যাচে খেলেছেন দারুণ এক ইনিংস। বাংলাদেশের খেলায় তাই ইতিবাচক পরিবর্তনই দেখছেন এশিয়া কাপের পরপরই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে বিদায় নেয়া উইকেটকিপার-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
মিস্টার ডিপেন্ডেবলখ্যাত মুশফিকের দৃষ্টিতে দৃশ্যমান টাইগারদের উন্নতি। সেই সঙ্গে তার আশা পারফরম্যান্সের এই উন্নতি ধরে রেখে বিশ্বকাপেও ভালো করবে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলকে শুভকামনা জানিয়ে একটি পোস্ট দেন মুশফিক। তার সে লেখায় তিনি অধিনায়ক সাকিব ও লিটনের ইনিংসের প্রশংসাও করেন।
মুশফিক লিখেছেন: ‘আমাদের ক্যাপ্টেনের আরও একটি দারুণ নক, লিটনও দারুণভাবে অনুসরণ করেছে। যদিও আমরা হেরেছি কিন্তু আমরা উন্নতি করছি এবং সঠিক সময়ে সেরাটা বের হবে, ইনশাআল্লাহ। শুধু একই দিনে তিন বিভাগে একসঙ্গে ভালো করতে হবে। ইনশাআল্লাহ, আসন্ন বিশ্বকাপে আমরা দারুণ কিছু দেখতে যাচ্ছি–এমআর১৫।’
ক্রাইস্টচার্চে এদিন শান্ত-সৌম্য ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও তিন ও চার নম্বরে নেমে দারুণ জুটি গড়েন লিটন-সাকিব। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৭ বলে ৮৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ৪২ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৬৯ রান করেন লিটন। সাকিব এদিন টানা দ্বিতীয় অর্ধশতকের দেখা পান। ৪২ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে ৬৮ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তবে দুজনের বিদায়ের পর বাকিদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে বাংলাদেশ।
জবাব দিতে নেমে বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে ভর করে এক বল বাকি থাকতেই জয় পায় পাকিস্তান। ৪০ বলে ৯ চারে ৫৫ রান করেন বাবর। ৫৬ বলে ৪ চারে ৬৯ রান করেন রিজওয়ান।
এদিন বল হাতে ৩.৫ ওভারে ৫৩ রান দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছাড়েন রিজওয়ানের ক্যাচ।