১০ ডিসেম্বর ঢাকা হবে সমাবেশের শহর বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান। তিনি বলেন, যেখানেই বাধা সেখানেই সমাবেশ। শেখ হাসিনা কতো বাধা দেবেন?
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
আমানুল্লাহ আমান বলেন, শেখ হাসিনার দিন শেষ। আরেক মুহুর্তে এই সরকারকে কেউ দেখতে চায় না। আমাদের দাবি এখন একটাই, সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ। পুলিশ ও প্রশাসনকে বলব, আপনারা নিরপেক্ষ থাকুন কারণ শেখ হাসিনা আর নেই। শেখ হাসিনার অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’ এসময় তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, ‘খেলা শুরু হয়ে গেছে। আর আওয়ামী লীগ হাবুডুবু খাচ্ছে। আওয়ামী লীগ লেজ গুটিয়ে দৌড় দিছে। তাদেরকে এখন তারেক রোগে পাইছে। তারেক রহমান দেশে আসলে আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেশের আসন্ন দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে হলে সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, পাঁচজনকে হত্যা করেছেন। প্রয়োজনে বুক পেতে দেব। কিন্তু আপনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। যারা সমাবেশে যাওয়ার আগেই বাস চলাচল বন্ধ করে দেন তাদের কালো তালিকা করা হবে। আমরা অনেক সহ্য করেছি, আর নয়। আমরা যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন ঢাকা মহানগরীর থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে জড়ো হওয়ায় ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইলের নাইটিংগেল মোড় পর্যন্ত সড়কের দক্ষিণ দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিলো। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এই এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ।