খোলা কিংবা প্যাকেট, লাল বা সাদা কোনো ধরনের চিনিই রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে মিলছে না। সংকট কাটাতে ট্রাকে করে টনকে টন চিনি সরাসরি ভোক্তার কাছে বিক্রি করছে কোম্পানিগুলো।
দায়-দোষ যারই হোক- এখন বাজার বাস্তবতা হচ্ছে, কোনো দোকানে চিনি নেই। বাধ্য হয়ে দরকারি এ পণ্য ছাড়াই বাজার সারছেন ক্রেতারা। এক ক্রেতা বলেন, বাজারে চিনি না থাকায় আমাদের বেশ সমস্যা হচ্ছে। এটা বেশ আশ্চর্যজনক বিষয়; চিনি গেল কোথায়?
চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন- এমন মন্তব্য করে আরেকজন ক্রেতা বলেন, চিনি ছাড়া চা খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের কোনো দোকানে চিনি পাইনি।
এদিকে বাজারে চিনির এই হাহাকার কাটাতে গত বুধবার (২৬ অক্টোবর) থেকে ট্রাকে করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সরকারনির্ধারিত দামে চিনি বিক্রি করছে দেশে চিনি প্রস্তুতকারক শীর্ষ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। প্রতি কেজি চিনি ৯৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে; যা ভোক্তাদের স্বস্তি দিচ্ছে।
কোম্পানিগুলার বিক্রয় প্রতিনিধিরা বলেন, ভোক্তাদের সুবিধার্থে ন্যায্যমূল্যে চিনি সরবরাহ করতেই আমরা ট্রাকে করে চিনি বিক্রি করছি। বিভিন্ন দোকানি আমাদের থেকে কমমূল্যে চিনি কিনে নিয়ে দাম বাড়িয়ে তা ১২০ থেকে ২২৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। এজন্য কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ট্রাকসেলে চিনি কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, বাজারে অনেক খুঁজেছি, কিন্তু কোথাও চিনি পাইনি। বাজারের একজনের কাছে শুনলাম যে ট্রাকে ৯৫ টাকা দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে। তাই এখান থেকে নিলাম।
তবে বাজারকে বঞ্চিত করে নয়, চিনির বর্তমান সংকট কাটাতে ট্রাকসেলের পাশাপাশি বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। এক বিক্রেতা বলেন, আমাদের কাছে গেল ১৫ দিন যাবত চিনি নেই। সংকট কাটাতে হলে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিনি দিতে হবে। কোম্পানি যদি আমাদের চিনি না দেয়, তাহলে আমরা চিনি কোথায় পাব।
তবে কতদিন পর চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে– সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে সেই প্রশ্নের পরিষ্কার উত্তর জানতে চান ক্রেতা-বিক্রেতারা।