দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে ১৫১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। দুর্ঘটনাকবলিতদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। খবর রয়টার্সের।
এক বিবৃতিতে ইউন সুক-ইওল বলেন, এটি সত্যিই হৃদয়বিদারক ঘটনা। সিউলের কেন্দ্রে এ রকম একটি বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটা ঠিক হয়নি।’
স্থানীয় সময় শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে সিউলের ইওংসানগুয়ের ইথেওয়ানের হ্যালোইন পার্টিতে জড়ো হন এক লাখেরও বেশি মানুষ। অনুষ্ঠানে এক তারকা উপস্থিত হয়েছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। সরু রাস্তায় অতিরিক্ত ভিড়ে চাপা পড়েন অনেকে। পদদলিত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান অনেকে।
ইয়ংসান ফায়ার স্টেশনের প্রধান চৈ সং-বিওম বলেছেন, নিহত ১৫১ জনের মধ্যে ১৯ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন। তারা চীন, ইরান, উজবেকিস্তান ও নরওয়ের নাগরিক। তিনি আরও বলেন, আহত ৮২ জনের মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা গুরুতর।
ফায়ার স্টেশনের প্রধান চৈ আরও বলেন, হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে নারী। তাদের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। যারা পদদলিত হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই সরু গলির মধ্যে ছিলেন।
খবর পেয়ে দ্রুতই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পদদলিত হওয়ার পর হৃদরোগ আক্রান্ত হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এক ভিডিওতে ইটাওনের রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃতদের লাশ বডিব্যাগে রাখার দৃশ্য দেখা যায়। জরুরি সেবা দানকারীদের এ সময় আহতদের সিপিআর প্রদান ও শরীরের নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধার করতেও দেখা যায় সে ভিডিওতে।
এর আগে দেশটির ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল, হঠাৎ ফায়ার সার্ভিসের অফিসে ৮১টি কল আসে। সেখানে তাদের শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানান তারা।
দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইউল। এমনকি ইথেওয়ানে অতিরিক্ত চিকিৎসক পাঠানোর পাশাপাশি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিতের নির্দেশ দেন তিনি। এদিকে দুর্ঘটনার খবরে ব্যবসায়িক কারণে ইউরোপ সফরে থাকা সিউলের মেয়র ওহ সে-হুন তাৎক্ষণিক দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।