পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। উল্টো আইএসআইয়ের সংবাদ সম্মেলনকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে সংস্থাটির মহাপরিচালকের অপসারণ দাবি করেছেন ইমরান। এদিকে ইমরান খান সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দ্য প্রিন্টের।

আগাম নির্বাচনের দাবিতে পাকিস্তানে চলছে ‘হাকি-কি আজাদি’ নামের পিটিআই এর লং মার্চ। দুদিনের যাত্রা শেষ হলেও আগামী শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) রাজধানী ইসলামাবাদে গিয়েই দ্বিতীয় দফার এই লংমার্চের ইতি টানবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন পদ হারানো প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পুরো বক্তব্যে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দিকেই অস্ত্র তাক করেন তিনি। এক সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যেসব অভিযোগ এনেছেন তার তীব্র সমালোচনা করেন ইমরান।

নিজ দল পিটিআই এর নেতাদের আটকাবস্থায় নির্যাতনের জন্য অভিযুক্ত আইএসআইয়ের কর্মকর্তাদের শাস্তিও দাবি করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে গোয়েন্দা সংস্থার সমালোচনা করায় ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ নওয়াজের তোপের মুখে পড়েছেন ইমরান। দলটির বেশ কয়েকজন নেতার অভিযোগ, আইএসআইর সমালোচনা কোনো পাকিস্তানি করতে পারে না।

লংমার্চ ঘিরে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে দেশটির সরকার। ১৩ হাজারের বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিটিআই সমর্থকদের ওপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তবে সমাবেশে কোনো বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর হাতে দমনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।

এরই মধ্যে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে নতুন একটি তথ্য প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক মাস আগে এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে সরকারকে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন ইমরান বলে দাবি করেছেন শাহবাজ। দুটি প্রস্তাবও ইমরান দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এর একটি হচ্ছে সেনাপ্রধান নিয়োগ আর অপরটি নির্বাচন। ইমরানের প্রস্তুাব সরাসরি ফিরিয়ে দেয়ার কথাও জানান শাহবাজ।

চলতি বছর পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় ইমরান খানকে। এরপর থেকে একের পর এক শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছে পিটিআই। ইসলামাবাদের দিকে এটি ইমরান খানের দ্বিতীয় লংমার্চ। এর আগে গত ২৫ মে প্রথম লংমার্চের ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় তার ডাকে সাড়া দিয়ে লাখ লাখ সমর্থক লংমার্চে যোগ দেন।