মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ১১:০৪ অপরাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
ঢাকা বরিশাল মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা । সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের পাশে থাকার ঘোষণা জামায়াতের ইসরাইলে নতুন করে মিসাইলের বহর ছুড়ল ইরান ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৬ বরিশালের এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোসহ ৩ দাবি পরীক্ষার্থীদের বরিশালে স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্যালিকাকে ধর্ষণচেষ্টা, থানায় অভিযোগ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ , বরিশাল মহানগর শাখার তৃণমূল দায়িত্বশীল তারবিয়াত অনুষ্ঠিত। বীরপ্রতীক রতন শরীফ ফাউন্ডেশনের শুভ উদ্বোধন। তারেক রহমান চাইলে যে কোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতে বিধ্বস্ত বিমানে আরোহী ছিলেন ২৪২ জন, ফ্লাইট ছিল লন্ডনগামী!

রায় কার্যকর হলেই সন্তুষ্ট হবেন সিনহার বোন

একুশে বিডি অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২২
  • ১১৩ জন নিউজটি পড়েছেন

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে এ মামলার রায়ে নয়, রায় কার্যকর হলে তবেই সন্তুষ্ট হবেন বলে জানিয়েছেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন। এ আদেশের পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

রায় ঘোষণার সময় থেকেই কক্সবাজার আদালতে ছিলেন মামলার বাদী শারমিন। রায়ের পরপর আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, দুই প্রধান আসামির ফাঁসির রায়ে প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, কিন্তু সাতজনের খালাস নিয়ে আছে অসন্তোষ, তাদেরও কিছুটা দায়বদ্ধতা ছিল।

শারমিন বলেন, প্রত্যাশা ছিল মামলার প্রধান দুই আসামির যেন সর্বোচ্চ সাজা হয়। সেটা পূরণ হয়েছে। তবে যে সাতজনকে খালাস দেওয়া হলো, আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে, তাদেরও কিছুটা দায়বদ্ধতা ছিল। একেবারেই যে দায়বদ্ধতা ছিল না তা না। সে ক্ষেত্রে হয়তো তাদের কিছু সাজা হতে পারতো বলে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়। আর সন্তুষ্টির কথা যদি বলেন, সন্তুষ্টি সেদিনই হবে যেদিন রায়টি কার্যকর হবে।

সিনহা হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীকে সহযোগিতা করার অপরাধে ছয়জনকে যাবজ্জীবন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- প্রদীপের দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত ও বরখাস্ত কনস্টেবল সাগর দেব এবং টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া রায়ে সাতজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালতের বিচারক। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বরখাস্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, বরখাস্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান, বরখাস্ত কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারকের রায় ঘোষণার পর এজলাস কক্ষে কেঁদে ওঠেন ১৫ আসামির সবাই। কেউ মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে কাঁদেন। কেউ যাবজ্জীবনের জন্য বাকি সাতজন খালাস পাওয়ার আনন্দে কেঁদে ওঠেন।

এদিন দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে এজলাসে এসে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর মামলা সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করেন বিচারক। এর আগে সকালে আদালতে হাজির করা হয় মামলায় অভিযুক্ত বিতর্কিত ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার ও লিয়াকতসহ ১৫ আসামিকে।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি, বাদীপক্ষের আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীসহ বাদী ও বিবাদীদের স্বজন এবং সংশ্লিষ্টরা এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। রায়কে কেন্দ্র করে আদালতের চারপাশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

২০২০ সালের ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য, প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর ২০২০ সালের ২৪ জুন চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আত্মসমর্পণ করলে এ মামলার ১৫ আসামিই আইনের আওতায় আসেন।

গত ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা দায়ের করে।

ঘটনার পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এ চারটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব।

পরে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।

গত ২৭ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। এরপর গত ২৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। যা শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। পরে গত ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় আসামিদের ৩৪২ ধারায় বক্তব্য গ্রহণ।

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Tuesday, 17th June, 2025
    SalatTime
    Fajr3:44 AM
    Sunrise5:11 AM
    Zuhr11:59 AM
    Asr3:17 PM
    Magrib6:47 PM
    Isha8:15 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102