রশিদ খানের লড়াকু ইনিংসের পরও হার বরণ করেছে আফগানিস্তান। ছবি সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান ম্যাচে ৫ বলে এক ওভার শেষ হয়েছে। পরে অবশ্য ব্যাপারটি অনেকের চোখেই ধরা পড়ে, ততক্ষণে আম্পায়ারদের সেই ভুল শোধরানোর কোনো সুযোগ ছিল না।
ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। তখন বল করতে আসেন আফগান পেসার নাভিন উল হক। প্রথম বলে মাত্র এক রান দেন তিনি। সিঙ্গেল নেয়ায় নন-স্ট্রাইক প্রান্তের ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে স্থান বদল হয় মিচেল মার্শের। পরের বলে ওয়ার্নার নেন আরও এক রান। তৃতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের দিকে চার হাঁকান মার্শ।
চতুর্থ বলে আসে ৩ রান। পরের বলটি ডট দেন নাভিন। তখনই ওভার ডেকে বসেন অনফিল্ড আম্পায়ার। পরে পঞ্চম ওভার করতে আসেন মুজিব উর রহমান। তাতে ৫ বলেই একটি ওভার সম্পন্ন হয়। যেখানে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে রশিদ খানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংসের পরও ৭ উইকেট খুইয়ে ১৬৪ রান করতে সক্ষম হয় আফগনাস্তিান। অস্ট্রেলিয়া জিতে ৪ রানে। অজিরা জিতলেও কঠিন হয়েছে তাদের সেমিফাইনালের সমীকরণ। ৭ পয়েন্ট থাকা নিউজিল্যান্ডকে রানরেটে পেছনে ফেলতে এ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ১৮৫ রানের বড় ব্যবধানে হারাতে হতো অজিদের। কিন্তু তাদের সংগ্রহই ছিল মোটে ১৬৮। আর তাতে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালে পা রাখে নিউজিল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখনও সেমির স্বপ্ন বেঁচে আছে। সে জন্য ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচে লঙ্কানদের জয় বাধ্যতামূলক। ইংল্যান্ড জিতলেই বাদ পড়বে অজিরা। তবে ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে সেমিফাইনালে যাবে অস্ট্রেলিয়া। কেননা ২ নম্বর গ্রুপে সব কটি ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৭। এক ম্যাচ বাকি থাকা ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৫। অবশ্য রানরেটে অজিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে ইংলিশরা।