ছবি: সংগৃহীত
নানান অঘটন আর রোমাঞ্চ শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা ৪ দল পাওয়া গেছে। সেমিফাইনাল-ফাইনালের আগেই তর্কসাপেক্ষে, ইতিহাসের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তকমা গায়ে জড়িয়েছে এবারের আসর। কেবল সুপার টুয়েলভেই একের পর এক চমকের জন্ম দিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। শেষ চারের লড়াই শুরুর আগে দেখে নেয়া যাক, দ্বিতীয় রাউন্ডের উল্লেখযোগ্য পাঁচটি ঘটনা।
দেখতে দেখতে সমাপ্তির অপেক্ষায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ১৬ দল নিয়ে শুরু হওয়া এবারের আসর খুঁজে পেয়েছে টুর্নামেন্টের সেরা চার দলকে। অবশ্য তা খুঁজে পেতে ক্রিকেটপ্রেমীরা সাক্ষী হয়েছে বহু চমকের।
সুপার টুয়েলভে তো অবশ্যই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই সবচেয়ে বড় অঘটন বলা যায় নেদারল্যান্ডস-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচকে। ডু অর ডাই ম্যাচে প্রোটিয়াদের বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেয় প্রথম পর্ব পার করে আসা কমলা শিবির। ডাচদের বীরত্বে গ্রুপ টু’র সমীকরণই বদলে যায়। নেদারল্যান্ডসও বিদায় নেয় নিজেদের সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে।
ডাচদের মতোই অঘটনের জন্ম দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রন সংস্থা আইসিসির আরেক সহযোগী দেশ আয়ারল্যান্ড। প্রতিবেশী ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জমিয়ে তোলে গ্রুপ ওয়ানের সমীকরণ। অবশ্য বিশ্বকাপ মঞ্চে আইরিশদের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম নয় ইংলিশদের। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেও এমন অঘটনের নজির রয়েছে।
সুপার টুয়েলভের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ ছিল ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটা ছিল নামের মতোই ভারী। বিরাট কোহলির অতিমানবীয় ইনিংসে ভর করে ভারতের পাক বধ কেবল এবারের আসরেরই নয়, বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
ভারতের কাছে শেষ বলের হারের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই আরেক ধাক্কা পাক শিবিরে। বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো হারের স্বাদ নিতে হয় জিম্বাবুয়ের কাছে। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই সিকান্দার রাজাদের এমন অর্জন প্রশংসা কুড়ায় ক্রিকেটবিশ্বে।
তালিকার শেষ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী ম্যাচটি। ঘরের মাঠে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এমন অসহায়ত্বকে অঘটন না বলে কি আর উপায় আছে? একচেটিয়া সেই ম্যাচটিই কপাল পোড়ায় অস্ট্রেলিয়ার। নেট রান রেটের হিসাবে যে ধাক্কাটা খায় অ্যারন ফিঞ্চদের দল, তা আর কাটিয়ে ওঠা হয়নি গোটা আসরে।