সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার দায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। প্রথমদিন সেখানে তারা ছিলেন চুপচাপ, কারও সাথেই কথা বলেননি।
এছাড়া, পুলিশের এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মাসহ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ছয় আসামিকে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের সেলে নেয়া হয়েছে। এতদিন তারা কারাগারে হাজতিদের সেলে ছিলেন।
কক্সবাজার জেল সুপার নেছার আলম জানান, রায়ের পর সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে পুলিশ ভ্যান কারাগারে পৌঁছায়।
এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ ও লিয়াকতকে অন্য আসামিদের কাছ থেকে আলাদা করা হয়। পরে, কারাগারের একটি কক্ষকে কনডেম সেল ঘোষণা করে সেখানে তাদের রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা কারাগারে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য আলাদা কোনো কনডেম সেল নেই। এমন আসামি এলে কিছু কক্ষকে কনডেম সেল ঘোষণা করে সেখানে রাখা হয়।
জেল কোড অনুযায়ী তাদের প্রতিদিন খাবার ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। কনডেম সেল হিসেবে যে কক্ষে রাখা হয়েছে সেখানে চুপচাপ বসে আছেন প্রদীপ ও লিয়াকত।
কনডেম সেল মূলত ছয় ফুট বাই ছয় ফুট একটি ছোট ঘর; যেখানে ফাঁসির আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে পর্যন্ত রাখা হয়। অন্ধকার এ ঘরের ভেতরেই থাকে শৌচাগার। যেখানে একজন সুস্থ মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন, সেখানে বসেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন সাবেক ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকত।
এছাড়া নেছার আলম জানান, সিনহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি কয়েদি হিসেবে গণ্য হবে। এ কারণে তাদের অন্য কয়েদিদের সঙ্গে সেলে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে খালাস পাওয়াদের বিষয়ে আদালতের কাগজপত্র এলে মুক্তি দেয়া হবে।
এর আগে সোমবার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। বিচারক বাকি ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এপিবিএনের তিন সদস্যসহ সাতজনকে খালাসের রায় দেন।