আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম (এমপি) বলেছেন, ‘বিএনপির মূল টার্গেট নির্বাচন নয়, তাদের টার্গেট হচ্ছে- দীর্ঘমেয়াদি অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি তাদের আন্দোলন, সংগ্রাম ও সমাবেশে যাই বলুক না কেন তাদের মূল টার্গেট নট নির্বাচন, তাদের টার্গেট হচ্ছে কমপক্ষে দুই বছরের জন্য একটা অনির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা।’
একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সমাবেশের দিন ঢাকায় কোনো কর্মসূচি রাখছে না আওয়ামী লীগ। তারপরও মহানগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক থাকবে দলটির নেতাকর্মীরা। নেতারা বলছেন-বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না, তারপরও বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হলে প্রতিরোধ করা হবে।
আরেক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপির সমাবেশের আগে ও পরে (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় কোনো কর্মসূচি রাখছে না আওয়ামী লীগ। তবে ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন।
তিনি বলেন, যদি কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা অরাজকতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করে তাহলে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করব।
এদিকে আগামী ১০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চান বিএনপি নেতারা। সরকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দিলেও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে। এ নিয়ে জোর তৎপরতা শুরু করেছে বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘আমাদের সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। সরকারের মনে করা উচিত, ওইদিনই তাদের শেষ, যতই হামলা- মামলা করুক বিএনপি পিছু হটবে না, এদেশের জনগণ পিছু হটবে না।’
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কোনো ফাঁদে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চায় তারা। নতুন কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনকে নিয়ে যেতে চান দ্বিতীয় ধাপে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পতন কাল সকালেও হতে পারে, এক সপ্তাহ পরেও হতে পারে, আবার একমাস পরেও হতে পারে। আন্দোলন তার নিজের গতি প্রকৃতি নিজেই বেছে নিবে।
সব মিলিয়ে ১০ ডিসেম্বর ঘিরে দেশের রাজনীতিতে চলছে নানা হিসেব-নিকেশ। বড় দুই দলের নেতাদের বাগযুদ্ধে উত্তাপ ছড়াচ্ছে রাজনীতির মাঠে।