ছবি: সংগৃহীত
মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেখান থেকে অক্টোবরে দ্বিগুণের বেশি পণ্য আমদানি করেছে ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত মার্কিন সেনসাস ব্যুরোর এক প্রতিবেদনে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম আরটি এ তথ্য জানিয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পর দফায় দফায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশ ও তার মিত্ররা। যদিও নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার জ্বালানি খাতকে লক্ষ্য করে দেয়া হয়, তবে এর আওতায় অ্যালকোহল, সামুদ্রিক খাবারের পণ্য এভং নন-ইন্ডাস্ট্রিয়াল হীরাও ছিল।
সংঘাত শুরুর পর ধীরে ধীরে রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমে আসছিল। কিন্তু গত আগস্ট থেকে তা আবারও বাড়তে শুরু করে। আর গত অক্টোবরে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
ইউএস সেনসাস ব্যুরোর প্রতিবেদন বলছে, সেপ্টেম্বরে রাশিয়া থেকে মাত্র ৩৩২ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যা পরের মাসেই বেড়ে হয় দ্বিগুণেও বেশি। অক্টোবরে ৭৩২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ করেছে রাশিয়া।
তবে এটি ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে এখনও বেশ কম। সে সময় রাশিয়া থেকে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তা ছাড়া গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার পঞ্চম বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার ছিল।
সেনসাস ব্যুরোর মতে, অক্টোবরে রাশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট আমদানির একটি বড় অংশজুড়েই ছিল সার। এমনকি সারের এ চালানের আকার ইউক্রেন সংঘাত শুরুর আগের তুলনায়ও বড় ছিল। এ ছাড়া লোহা, ইস্পাতও আমদানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিপরীতে এই মাসে রাশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রফতানির পরিমাণ কমে এসেছে। অক্টোবরে ৮১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রাশিয়ায় রফতানি করেছে দেশটি, যা আগের মাসেই ছিল ৯০ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছরের অক্টোবরে রাশিয়ায় ৫২৪ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।