ফাইল ছবি
অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাত ও শঙ্কা এড়াতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দিন বিএনপিকে গণমিছিল না করার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। পক্ষান্তরে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশি অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে যান লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমদ। এ সময় সেখানে ছিলেন নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দিন বিএনপিকে গণমিছিল না করার অনুরোধ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, শিগগিরই জানানো হবে।
মঙ্গলবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভা শেষে এ অনরোধ জানান ওবায়দুল কাদের।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের আচরণে শঙ্কা তৈরি হবার কারণে ১০ ডিসেম্বরের আগে নয়াপল্টনে দলীয় নেতাকর্মীরা জড়ো হলে ৭ ডিসেম্বর পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় দলের কার্যালয়ে লুটপাট ও ভাংচুর করা হয়, অনেকে আহত হয় এবং অনেককে গ্রেফতার করা হয়। সোজাসুজি বললে অসামাজিক মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালানো হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ব্যাগ নিয়ে ভেতরে প্রেবেশ করে ওই ব্যাগেই বোমা রেখে উল্টো বিএনপির বিরুদ্ধে বোমা নাটকের অভিযোগ করেছে। সেদিন মহাসচিবকে পর্যন্ত ঢুকতে দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সভা-সমাবেশের সুযোগ রাখছে না সরকার। বিএনপি জনগণের অধিকার রক্ষায় আন্দোলনে আছে। মানুষ এ সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।
আরও পড়ুন: জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর গ্রেফতার
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ নেতা আরো বলেন, বিএনপির ওপর সরকারের আক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেছে। সরকারের ভেতরে অস্থিরতা, দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে।
তিনি এ সময় সরকারকে নোংরা রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপির আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। স্বেচ্ছাসেবক দলের মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বিরকে গত ৮ ডিসেম্বর উত্তরার রেডিক্যাল মেডিকেল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরদিন সেখানে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথাও হয় মুসাব্বিরের। কিন্তু এরপর থেকে তাকে এখনও পর্যন্ত আদালতে পাঠায়নি পুলিশ। তেজগাঁও থানা এ ঘটনা এখন অস্বীকার করছে।