খুলনা নগরীর সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ভর্তির লটারিতে এক শিক্ষার্থীই পেয়েছে ৯ বার ভর্তির সুযোগ। ভিন্ন ভিন্ন নামে আবেদনের ফলে এমনটা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ভর্তির ফল প্রকাশ করা হয়। ফল যাচাই করতে গিয়ে এমন তথ্য পান সংশ্লিষ্টরা। ভর্তির সুযোগ পেতে এই কৌশলকে প্রতারণা বলছেন অন্য অভিভাবকরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির প্রাতঃশাখায় আটবার ও দিবা শাখায় একবার নাম এসেছে শিশুটির। নাম ও মোবাইল নম্বরে রয়েছে ভিন্নতা। তিন নামে শিশুর জন্য ভর্তির আবেদন করা হয়। এতে ব্যবহৃত হয়েছে তিনটি পৃথক মোবাইল নম্বর ও পৃথক পৃথক জন্ম নিবন্ধনও। বাবা ও মায়ের নাম সব স্থানে একই রয়েছে।
প্রাতঃশাখায় ১৯, ৩২, ৩৭, ৮১, ৮২, ৯০, ৯৩ ও ১০৮ এবং দিবা শাখায় ২৫ নম্বর ক্রমিকে এসেছে একই ছবির ওই শিশুর ভর্তির সুযোগের বার্তা।
লটারিতে সন্তানের নাম না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুস্তাহিদ মোল্লা নামে এক অভিভাবক বলেন, স্বপ্ন ছিল মেয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। কিন্তু ভাগ্য খারাপ পায়নি। কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে একজন যদি ৯ বার সুযোগ পায়, তাহলে নীতি-নৈতিকতা কোথায় থাকল? এই বিষয়ের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তার।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, ‘লটারির কার্যক্রম ঢাকায় পরিচালিত হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। করোনশেন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিদ্যালয়ে দেয়া তালিকার নম্বরে (অভিভাবক) কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।