পেরুতে এক আন্দোলনকারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত
লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশটির বর্তমান সরকার চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি অবস্থা জারি করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৭ ডিসেম্বর দেশটি সে সময়কার প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। এরপর থেকেই দেশটিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলন দমাতে দেশটির সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
জরুরি অবস্থা জারি করার মাধ্যমে দেশটির সরকার পুলিশ বাহিনীকে অতিরিক্ত কিছু ক্ষমতা দিয়েছে এবং যে কোনো ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া বেশ কিছু নাগরিক অধিকারও বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে নির্বাচিত বামপন্থী নেতা পেদ্রো কাস্তিলোকে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অবৈধভাবে দেশটির পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। এর ফলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কপার উৎপাদনকারী দেশটিতে রাজনৈতিক সংকটের শুরু হয়।
এদিকে, পেরুর কৌসুঁলিরা জানিয়েছেন, তারা পেদ্রো কাস্তিলোকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৮ মাসের রিমান্ডের জন্য অনুরোধ করেছেন। কাস্তিলোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। পেরুর সুপ্রিম কোর্ট বুধবার বিষয়টি নিয়ে শুনানি শুরু করলেও পরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আদালত মুলতবি করেন।
এর আগে, দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন পেরুর অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে। এ সময় দেশজুড়ে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। ৬০ বছর বয়সী দিনা পেরুর ইতিহাসে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। তিনি ২০২৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। তবে তার নতুন প্রস্তাব অনুসারে ২০২৪ সালেই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।