কোটি টাকার সম্পত্তি থাকার পরও বাবার মৃত্যুতে নিঃস্ব হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছয় বছরের কৃষ্ণা রায় ও তার মা মুক্তা রায়। বন্ধ হয়ে গেছে কৃষ্ণার লেখাপড়াও। কৃষ্ণার চাচা, দাদি ও ফুপুরা সম্পত্তি বেদখল করায় তাদের এই করুণ পরিণতি হয়েছে বলে অভিযোগ মুক্তা রায়ের।
কোটি টাকার সম্পত্তি থাকার পরও বাবার মৃত্যুতে নিঃস্ব হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছয় বছরের কৃষ্ণা রায় ও তার মা মুক্তা রায়। বন্ধ হয়ে গেছে কৃষ্ণার লেখাপড়াও। কৃষ্ণার চাচা, দাদি ও ফুপুরা সম্পত্তি বেদখল করায় তাদের এই করুণ পরিণতি হয়েছে বলে অভিযোগ মুক্তা রায়ের।
তিনি আরও বলেন, তার মেয়ে কৃষ্ণা প্রথম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। বাবার মৃত্যুর পর আর্থিক অনটনের কারণে তার পড়াশোনাটাও বন্ধ হয়ে গেছে। তার ভরণপোষণের টাকা চাইলেও সেটাও দিচ্ছে না তার চাচা। ফলে শিশুসন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
মুক্তা আরও অভিযোগ করেন, সম্পক্তির ন্যায্য অংশ পেতে মুক্তা রায় থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি। স্থানীয়ভাবে এবং হিন্দু পরিষদের নেতাদের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করলেও তার দেবর, শাশুড়ি ও ননদরা কারো কথা মানছেন না। উপরন্তু সন্ত্রাসী দিয়ে প্রতিনিয়ত কন্যাসহ তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
তিনি তার নাবালক কন্যা কৃষ্ণের ভবিষ্যৎ রক্ষায় পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসনসহ সকলের সহায়তা কামনা করেন।
এ বিষয়ে যশোর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন বলেন, মুক্তা রায় তার ওপরে নির্যাতনের বিষয়টি আমাদের জানিয়েছিলেন। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি তার ওপরে অনেক অত্যাচার করা হচ্ছে। বাড়ি থেকে শিশুসন্তানসহ বের করে দেয়া হয়েছে। আমরা দুপক্ষকেই মীমাংসার জন্য ডেকেছিলাম। মুক্তার দেবর পিন্টু রায় মীমাংসা বৈঠকে আসেননি।
তিনি আরও বলেন, মুক্তা ও তার শিশু সন্তান অস্বাভাবিক কিছু দাবি করেনি। ওরা বেঁচে থাকার মতো কিছু সম্পদ চায়। আমরা বিষয়টা নিয়ে আরও গভীরভাবে কাজ করব।
অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে পিন্টু রায় মোবাইল ফোনে সময় সংবাদকে বলেন, ‘বৌদি মিথ্যা কথা বলছে। আপনারা গ্রামে এসে খোঁজখবর নেন। দাদা বেঁচে থাকতে উনি সম্পদ লিখে দিতে বলতেন। অসুস্থ দাদার চিকিৎসায় অনেক খরচ হয়েছে। আমরা দেনায় জর্জরিত। বৌদিকে বলেছি, আমরা মিলেমিশে একসঙ্গে থাকি। কিন্তু তার মা ও ভাই এসে এই বাড়িতে থাকেন। তাদের ভরণপোষণ করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আর আমি কোনো হুমকি-ধামকিও দেয়নি। এ বিষয় নিয়ে থানায়ও বসেছি আমরা।’
এদিকে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।