মরক্কোর বিপক্ষে গোলের পর থিও হার্নান্দেজ
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। কাতারে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফের ফাইনালে উঠেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। দলের এমন সাফল্য দারুণ উচ্ছ্বসিত ফ্রান্সের ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজ। টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে ওঠাকে অবিশ্বাস্য ব্যাপার বলছেন তিনি।
কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মরক্কোকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। ম্যাচের শুরুতে গোলের দেখা পাওয়া ফ্রান্স দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান দ্বিগুণ করে। মরক্কো দারুণ খেলেও ফ্রান্সের রক্ষণ ভেঙে ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
এদিন ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড গোল করে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন থিও হার্নান্দেজ, যেটি ১৯৫৮ সালের পর বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দ্রুততম গোল। সেবার ফ্রান্সের বিপক্ষেই সেমিফাইনালে ব্রাজিলের ভাভা ম্যাচ শুরুর দুই মিনিটের মধ্যে গোল করেছিলেন। পরে ১৭ বছর বয়সী পেলের হ্যাটট্রিকে ৫-২ ব্যবধানে জয় পায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমে ৪৪ সেকেন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় গোলটি করেন রন্দাল কোলো মুয়ানি।
এই নিয়ে সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। ১৯৫৮ সালে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলা ফ্রান্স ১৯৮২ ও ১৯৮৬ সালেও সেমিফাইনালে ওঠে। কিন্তু একবারও ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি ব্লুরা। ১৯৯৮ সালে চতুর্থবারের মতো সেমিফাইনাল ভাগ্যপ্রসন্ন হয় তাদের। সে আসরের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে জিদান-দেশমের দল। পরে ব্রাজিলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নও হয়। এরপর আরও তিনবার সেমিফাইনাল খেলা ফ্রান্স প্রতিবারই পা রাখল ফাইনালের মঞ্চে। এর মধ্যে ১৯৯৮ এর পর ২০১৮ সালেও বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স।
ফ্রান্সের আগে সবশেষ ব্রাজিল টানা দুই আসরে ফাইনাল খেলেছে। ১৯৯৪ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১৯৯৮ ও ২০০২ সালেও ফাইনাল খেলে ব্রাজিল। এর মধ্যে ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।
১৮ ডিসেম্বর লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স। ফাইনালে জয় পেলেই দারুণ এক মাইলফলক ছুঁবে দিদিয়ের দেশমের দল। ইতালি ও ব্রাজিলের পর তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুই বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ ফ্রান্সের সামনে। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ বিশ্বকাপে টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইতালি। এরপর ১৯৫৮ ও ১৯৬২ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতালির রেকর্ডে ভাগ বসায় ব্রাজিল। ফ্রান্সের সামনে এবার সেই সুযোগের হাতছানি।
মরক্কোকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনালে পা রাখার বিষয়টি বিশ্বাসই হচ্ছে না ফ্রান্সের ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজের। তিনি বলেন, ‘টানা দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। আমরা দারুণ কাজ করেছি। কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু আমরা এখন ফাইনালে।’