আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় এখনও সংহত হয়নি; কাজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত আর অসাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিজয়ের একান্ন বছর পরও এ দেশকে এখনও সুষম করতে পারিনি। বিজয়কে উপভোগ করা যায়নি। এখনও সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজয়কে নস্যাৎ করতে তৎপর। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান।
পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
কাদের বলেন, বিজয়কে সংহত করার কাজে বড় অন্তরায় সাম্প্রদায়িকতা। এই বিষবৃক্ষ উৎপাটন করতে হবে। বিএনপি এদের উসকানি দিচ্ছে। ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপির পৃষ্ঠপোষক সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। বিজয়ে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে আবারও শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।
বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন মহান বিজয় দিবস।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৬৬-র ছয় দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫ মার্চ রাতে গণহত্যা শুরু হলে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে ৩০ লাখ শহীদ ও দুলাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। সেই হিসাবে বিজয়ের ৫১ বছর পূর্তির দিন আজ (শুক্রবার)।