নেইমার জুনিয়র। ছবি সংগৃহীত
বিশ্বকাপ থেকে ব্রাজিলের ছিটকে যাওয়ার এক সপ্তাহ হলো মাত্র। কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হারের সেই রেশ এখনও কাটেনি, ব্রাজিল সমর্থকদের চোখে যেন এখনও ভেসে আছে সেলেসাওদের বাধভাঙা কান্নার ছবি। চোখের জলে তাবত দুনিয়ার ফুটবলপ্রেমীদের কাঁদিয়েছিলেন নেইমার জুনিয়র। এই ফুটবলার আরও একবার আলোচনায় এসেছেন, এবার তিনি আলোচনায় ব্রাজিলে ফিরেই পার্টি করার জন্য।
কাতার যাত্রা শেষ হওয়ার পর নিজ দেশ সাও পাওলোতে গিয়েছিলেন নেইমার। সেখানে বোনের বাসায় বড়োসড়ো পার্টি করেন তিনি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তার জাতীয় দলের সতীর্থ অ্যান্টোনিসহ দেশটির গুণী ব্যক্তিরা। নেইমার চেয়েছিলেন পার্টির বিষয়টি যেন গোপনই থাকে, কিন্তু তা আর হলো না। ব্রাজিলের স্থানীয় গণমাধ্যম ফোলহা ডি সাও পাওলো সেই খবর প্রকাশ করেছে। খবর মার্কার।
নেইমারের এমন কাণ্ডে হতবম্ব ফুটবলপ্রেমীরা। ফেবারিট ব্রাজিলের ছিটকে যাওয়ায় অনেক সমর্থকই তো এখনও হতাশা থেকে বেরোতে পারেননি, সেখানে ব্রাজিলের খেলোয়াড় হয়েও নেইমার কীভাবে এমন একটি কাজ করতে পারলেন- এমন কথাও বলছেন কেউ কেউ।
বিপরীত পক্ষও আছে। নেইমারের কাজটি সমালোচিত বলে মনে করেন না অনেকে। তাদের দাবি, ফুটবলাররা কে কী করবেন, তা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এগুলো নিয়ে সমালোচনা করার কিংবা প্রশ্ন করার এখতিয়ার তো কোনো ব্যক্তি বিশেষের নেই। তাহলে সমস্যা কোথায়?
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচের ১১৫ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু পরের মিনিটে তাদের দুঃস্বপ্ন হয়ে আসে ক্রোয়াটদের বদলি নামা ফরোয়ার্ড ব্রুনো পেটকোভিচ। ১২০ মিনিট শেষেও দুই দলের গোল সমান থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে জয় তুলে নেয় লুকা মদ্রিচরা।
টাইব্রেকারে প্রথম শটই মিস করেন ব্রাজিলের রদ্রিগো। অন্যদিকে প্রথম দুই শটে দলকে এগিয়ে রাখেন লভ্র মাজের ও নিকোলা ভ্লাসিচ। পরের শুটআউটে ব্রাজিলের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখেন ক্যাসেমিরো। তবে লুকা মদ্রিচের শটও ঠেকাতে পারেননি অ্যালিসন বেকার। পেদ্রো এসে ফের লড়াইয়ে ফেরান ব্রাজিলকে। কিন্তু অ্যালিসন পারেননি মিসলাভের শট ঠেকাতে। পরের শটে দলকে হতাশ করে মারকুইনস। আর তাতে আসর থেকেই ছিটকে যায় ব্রাজিল। টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পা রাখে ক্রোয়েশিয়া।