বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রথম প্রভাব পড়বে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায়। আগামী শনিবার এসব এলাকায় বৃষ্টি শুরু হবে। ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া।
ঘূর্ণিঝড় মোখার সর্বশেষ অবস্থান নিয়ে আজ দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান ব্রিফিং করেছেন। তিনি জানান, মোখা আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ আরও শক্তি অর্জন করে ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২-৮৮ কিলোমিটার থেকে বেড়ে ৮৯-১১৭ কিলোমিটার হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র এখন ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসছে। গত ৩ ঘণ্টায় এটি ২৪ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। গতকাল এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫-১৬ কিলোমিটার। গতি পরিবর্তন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়টি রোববার ঠিক কখন উপকূলে আঘাত হানবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা কত হবে সেটি নির্ভর করবে ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার সময় জোয়ার নাকি ভাটা থাকবে সেটার ওপর।
এই ঘূর্ণিঝড়টি সিডরের মতো বিধ্বংসী হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিডরের যেসব বৈশিষ্ট্য ছিল এটিও সেদিকেই যাচ্ছে। শক্তি অর্জন করে এটি আজ সন্ধ্যা নাগাদ ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হবে। মোখার অগ্রভাগের প্রথম প্রভাব পড়বে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায়। এসব এলাকায় প্রথমে দমকা বাতাস ও ভারি বৃষ্টি শুরু হবে।