বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সাথে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনায় নিহত ৩ সন্ত্রাসীর পরিচয় না পাওয়ায় বেওয়ারিশ মরদেহ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্য়ায় বান্দরবান কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ শ্মশানে পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় এ দাফন কাজ সম্পাদন করা হয়।
পুলিশ জানায়, বান্দরবানের রুমায় গোলাগুলির ঘটনায় নিহত ৩ জনের মরদেহ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ৩ সন্ত্রাসীর পরিচয় না পাওয়ায় এবং নিহতদের খোঁজে কেউ থানায় যোগাযোগ না করায় বিকেলে মরদেহের সৎকার করার জন্য পৌরসভাকে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে সন্ধায় পৌরসভার তত্ত্বাবধানে বেওয়ারিশ হিসেবে ৩ সন্ত্রাসীর মরদেহ বৌদ্ধ শ্মশানে দাফন করা হয়।
বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল জানান, রুমায় নিহত ৩ সন্ত্রাসীর মরদেহ নিতে কেউ না আসায় এবং মরদেহের পরিচয় সনাক্ত করতে না পারায় ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পড়েছিল। পরে শেষকৃত্য সম্পন্নের জন্য পৌরসভাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য ২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) রাত ১০টায় বান্দরবানের রুমা জোনের একটি টহল দল বথিপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।
আরও পড়ুন: দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অস্ত্রের কারখানা, র্যাবের অভিযানে আটক ৩
এসময় পাহাড়ের জুম ঘরে ওঁৎ পেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলিবর্ষণ করতে থাকলে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর গুলিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মূল দলের ৩ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এদিকে সন্ত্রাসীদের কয়েকজন পালিয়ে যাওয়ায় সময় এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সেনাবাহিনীর টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং সৈনিক ফিরোজ ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।