রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে মিছিল করছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
রাজধানীতে ১০ বছর পর পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সমাবেশ করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সমাবেশ করছেন তারা।
শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এ সমাবেশ শুরু হয়।
এর আগে শুক্রবার (৯ জুন) রাত ১২টার পর সংবাদমাধ্যমকে জামায়াতের কর্মসূচির অনুমতির বিষয়টি জানান ডিএমপির যুগ্মকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, শনিবার (১০ জুন) বেলা ২টায় রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করতে পারবে জামায়াত।
তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে লিখিতভাবে কিছু দেয়া হয়নি। ফলে নেই কোনো ধরনের শর্ত। শুধু ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করতে পারার কথা মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।
বিপ্লব কুমার সরকার জানান, লিখিতভাবে কোন কিছু না জানানোয় শর্তের বিষয়টি আসেনি। লিখিত অনুমতি হলে শর্তের বিষয়টি থাকত। যেহেতু লিখিতভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি তাই শর্তের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তবে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান ডিএমপির এই কর্মকর্তা।
এর আগে কর্মসূচি পালনে সহযোগিতা চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে আবেদন জমা দিয়েছিল অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের একটি প্রতিনিধি দল। তারা ১০ জুন বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করার জন্য আবেদন করে। পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুমতি দেয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশ ও মিছিল করার অনুমতি চেয়েছিল দলটি। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে আভাস দেয়া হয়েছিল, রাস্তায় নয়, ঘরোয়া কোনো স্থানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হতে পারে। কারণ জামায়াতের আগের সহিংস কর্মসূচির পর এবার সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হবে কি না- তা নিয়েও অনিশ্চয়তা ছিল সবার মধ্যে।
এর আগেও ২৯ মে সমাবেশ ও মিছিলে সহযোগিতা চেয়ে জামায়াতের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। তবে কর্মদিবসে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আবেদনটি নাকচ করে দেয় ডিএমপি।
জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে সবশেষ ঢাকার মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তারা বিক্ষোভ মিছিল করেছিল। সে হিসাবে ১০ বছরের বেশি সময় পর ঢাকায় কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেল জামায়াত।