হাজীদের নিয়ে রবিবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে মদিনা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফিরতি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিবে। পরদিন সোমবার সকাল ৬টা ৫ মিনিটে ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা। এদিকে হাজীদের সৌদিতে জমজমের পানি না কেনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে হাজীদের বহনকারী তিনটি এয়ারলাইন্স।
জানানো হয়েছে, ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে প্রত্যেক হাজী ৫ লিটারের জমজমের পানির একটি বক্স পাবেন। ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম অথবা সিলেট বিমানবন্দরেও একইভাবে জমজমের পানি বিতরণ করা হবে।
এয়ারলাইনগুলো জানায়, সৌদি সরকার প্রত্যেক হাজীর জন্য ৫ লিটারের জমজমের পানি নির্ধারণ করেছে। তার বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো হাজী লাগেজে জমজমের পানি আনলে সেই লাগেজ সৌদিতেই থেকে যাবে। কিংবা সৌদি বিমানবন্দরে লাগেজ খুলে পানি ফেলে দেয়ার পর তা বিমানে তুলতে দেবে। একইভাবে অনেক হাজী সৌদি থেকে উট, দুম্বার কাঁচা গোশত ফ্রোজেন করে আনার চেষ্টা করেন। এটিও নিষিদ্ধ।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৮৮৪ জন হজ করতে সৌদি আরবে গেছেন। তাদেরকে বহন করেছে বাংলাদেশ বিমান, সৌদিয়া ও ফ্লাইনাস এয়ার।
ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছর মোট ফ্লাইট সংখ্যা ৩২৫টি। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫৯টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ১৮০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স ১১৩টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৫৩টি ফ্লাইটে ২০ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী বহন করেছে। একইভাবে সম সংখ্যক ফ্লাইটে হজযাত্রীদের দেশে পৌঁছে দেবে।