মহিউদ্দিন বাচ্চু। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং,পাহাড়তলী ও হালিশহর) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু।
সোমবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
সভা শেষে রাত সোয়া ৯টায় গণমাধ্যমের সামনে প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মনোনয়ন বোর্ডের সভায় চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
মনোনয়ন বোর্ড সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এই আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এখানে উপনির্বাচন হবে আগামী ৩০ জুলাই। তফসিল অনুযায়ী, আগ্রহী প্রার্থীরা ৪ জুলাই পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১২ জুলাই পর্যন্ত। ১২ জুলাই প্রতীক বরাদ্দ। এবং ৩০ জুলাই ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২ জুন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ডা. আফছারুল মরণব্যাধী ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে।
ডা. আফছারুল চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সরকারের নৌপরিবহন ও পরে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের প্রখ্যাত এ রাজনীতিবিদ জন্মগ্রহণ করেন। ডা. আফছারুল আমীন ও ডা. কামরুন্নেছা দম্পতির জ্যেষ্ঠ সন্তান ফয়সাল আমিন উচ্চশিক্ষা শেষ করে ব্যবসা করছেন। ছোট ছেলে ডা. মাহিদ বিন আমিন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী রেজিস্ট্রার। আফনারুল আমিনের স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক অধ্যাপক কামরুন্নাহার ২০১৮ সালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল থেকে অবসর গ্রহণ করেন।