তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে কথা বলেন। ছবি : তথ্য মন্ত্রণালয়
মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমনকে স্বাগত জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা এসেছেন এবং সহসাই আরও বেশ কয়েকজন আসবেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তাদের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সহযোগিতা রয়েছে। দেশের উন্নয়নেও তাদের ভূমিকা বিরাট। মার্কিন কর্মকর্তাদের আগমন তাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার বার্তাই বহন করে।’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিষয়টি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মালিক জনগণ। রাষ্ট্রক্ষমতায় কারা যাবে সেটি নির্ধারণ করার মালিক হচ্ছে জনগণ। বিএনপির যদি কোনো নালিশ থাকে তা জনগণের কাছে দিতে হবে, বিদেশিদের কাছে নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয় দেশেও ঠিক একইভাবে নির্বাচন হবে।’
বিএনপির সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রাম থেকে শুরু হবে এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা তো মাঝেমধ্যেই এক দফার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। তো এক দফা আন্দোলন চট্টগ্রামেই মারা যায় কি না, সেটিই দেখার বিষয়।’
ভূ-রাজনীতির কোনো চাপ সরকারের ওপরে আছে কিনা এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন,‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো চাপে নাই। বিএনপির সহিংসতা আমরা সামাল দিয়েছি।’
সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো বর্জন করেছিল এবং তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের এবং জনগণকেও বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছিল। তাদের এতো প্রচারণার মধ্যেও ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং, আগামী নির্বাচনেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।’