রাজনীতির সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বলছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। ছবি: সংগৃহীত
সরকার পতন আন্দোলনের নেপথ্যে বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে আসবে বিএনপি। আর আন্দোলনের হুমকি-ধমকি তাদের নেতাকর্মীদের চাঙা করার কৌশল।
সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন হানিফ।
এদিকে, বিএনপির আন্দোলনের তোড়জোড় আর সরকার পতনের হুমকি-ধমকি আমলে না নিলেও বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার কৌশল ঠিক করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। জুলাইয়ে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে দলটি। একই সঙ্গে সেপ্টেম্বরে সারা দেশে গণসংযোগে নামারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এসব কর্মসূচিতে সরকারের সাড়ে ১৪ বছরের সাফল্য ও অর্জন জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফ মনে করেন, সরকারবিরোধী কর্মসূচির আড়ালে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। মূলত নেতাকর্মীদের চাঙা করতেই এখন নির্বাচনে না যাওয়ার কথা বলছে দলটি।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে যাবে, তবে আন্দোলনের কথা না বললে কোনো নেতা ঘর থেকে বের হতে পারবে না। এ সংবিধানের মধ্যে থেকেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। তাদের মূল লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া। দল গোছানোর পাশাপাশি কর্মীদের উজ্জীবিত করার জন্য এটা তাদের একটা কৌশল। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে হবে।’
বিএনপি তো ২০১২ সালেই আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সরকার পতনের এক দফা ঘোষণা দিয়েই মাঠে নেমেছিলেন; কিন্তু সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত সরকার ক্ষমতায় আছে। কারণ একটাই, দেশের জনগণের আস্থা ও সমর্থন আছে এ সরকারের প্রতি, যোগ করেন হানিফ।
এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা তো বলেছি নির্বাচনের আগপর্যন্ত মাঠে থাকব, কাউকে মাঠ ছেড়ে দেব না। এটা তো আমাদের ঘোষণাই। কাজেই আমাদের সমাবেশ, শান্তি সমাবেশ হবে, বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে, সবই হবে।’
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে মাথা ঘামাতে চান না ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তবে কেউ কর্মসূচি দিয়ে জনদুর্ভোগ বা সহিংসতা করলে তা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে বলেও জানান তারা।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবিলা করা হবে। কারো সঙ্গে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে যাব না। তবে সন্ত্রাসের পথে হাঁটলে তার জবাব তারা পাবে।’
এ ছাড়া নেতৃত্ব সংকটের কারণেই বিএনপির আন্দোলন সফল হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতারা।