মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ঝরনা বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। এ ঘটনার মূলহোতা স্বামীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাত ৮টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব। এর আগে একই দিন সকালে পাবনা জেলার কাচারীপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত ব্যক্তি শিবচর উপজেলার মাদবরের চর ইউনিয়নের সাড়ে বিশরশি এলাকার ঝরনা বেগম। গ্রেপ্তারকৃত নিহতের স্বামী খোকন শেখ (৪৫) নড়াইল জেলার বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, প্রায় চার বছর আগে ঝরনা বেগমের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় খোকনের। বিয়ের পর স্বামী খোকন বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিল ঝরনা। বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় সামান্য বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি ও মারধর চলতো। গত মঙ্গলবার থেকে ঝরনা নিখোঁজ ছিল। এরপর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তার খোঁজ মেলেনি। গত শুক্রবার বাড়ির পাশের বাঁশবাগান থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা ঝরনার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।
এদিকে এ ঘটনায় শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ঝরনার বোন শাহিদা বেগম। ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যায় স্বামী খোকন। পরে র্যাবের নজরে আসলে বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে পাবনা জেলার কাচারীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি খোকনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৮ ও র্যাব-১২ এর একটি যৌথ দল।
মাদারীপুর ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও কোম্পানি কমান্ডার মো. রবিউল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খোকন স্বীকার করেছেন পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর কানের দুল ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান।