রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে ছয় লাখ ভাসমান মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনার কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঠিকানাহীন এসব মানুষরা পাবেন জনসনের এক ডোজ টিকা। ঢাকায় দেয়া হবে প্রায় তিন লাখ আর বাকি তিন লাখ টিকা দেয়া হবে ঢাকার বাইরে।
একই দিন থেকে টিকার আওতায় আসছে কওমী মাদ্রাসার ৩০ লাখ শিক্ষার্থী। এদিকে করোনার সংক্রমণ আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। মারা গেছে ৩৬ জন।
ধানমন্ডি স্কলার্স স্কুলে প্রতিদিনই টিকা পেতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইন। কেবল স্কুলের শিক্ষার্থী নয়। এবার কওমী মাদ্রাসা আর ভাসমান মানুষরাও আসতে যাচ্ছে টিকার আওতায়।
রোববার মিরপুরের নুরানী জামিয়া মহিলা মাদ্রাসার ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা পাবেন ফাইজারের টিকা। একে একে টিকার আওতায় আনা হবে কওমীর ৩০ লাখ শিক্ষার্থী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক বলেন, স্কুলশিক্ষার্থীদের যেভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই কওমি শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে।
এই কার্যক্রমের অধীনে সারাদেশে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ৬ বিভাগে ১৭৪টি মাদ্রাসাকে প্রাথমিকভাবে টিকা সেন্টার হিসাবে নির্বাচন করা হয়।
একই দিন রেববার বিকেল কমলাপুর রেলষ্টেশনে প্রথমবারের মতো টিকা পাবেন ভাসমান মানুষ। তাদের দেয়া হবে জনসনের একডোজ টিকা।
দেশে এই মুহুর্তে ৬ লাখ জনসন এন্ড জনসন টিকা মজুদ আছে। প্রথম ধাপে ঢাকায় প্রায় দু’লাখ ৮৫ হাজার ভাসমান মানুষ ও ঢাকার বাইরেও এই সংখ্যক ভাসমান মানুষ টিকা পাবে।
টিকা কমিটির সদস্য সচিব বলেন, যারা ভাসমান লোক আছে, ঠিকানা সবসময় পাওয়া যায় না। তাদেরকে জনসন টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ এটা সিঙ্গেল ডোজ টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ছয় কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। আর তৃতীয় ডোজ অর্থাৎ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৮ লাখ ৯৬ হাজারের বেশি মানুষকে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছে আরও ৩৬ জন। নতুন শনাক্ত হয়েছে আগের দিনের চেয়ে কিছুটা কম ৮ হাজার ৩৫৯ জন। শনাক্তের হার নেমেছে ২৩.৮৩ শতাংশ।