ওয়াগনার গ্রুপের সদস্য। ছবি: সংগৃহীত
রাশিয়া থেকে ভাড়াটে সামরিক বাহিনী ওয়াগনার যোদ্ধারা বেলারুশে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের সরকারি কর্মকর্তারা। রোববার ইউক্রেনের সীমান্ত সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রি ডেমচেঙ্কো এ কথা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
টেলিগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে আন্দ্রি ডেমচেঙ্কো বলেন, ওয়াগনার বাহিনী বেলারুশে পৌঁছেছে। সেখানে রাশিয়ার ‘বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠীর’ চলাফেরা লক্ষ করা গেছে।
গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) থেকে কিছু ওয়াগনার যোদ্ধা বেলারুশে রয়েছেন বলে এ গোষ্ঠীটির ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে।
গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, দেশটির ওসিপোভিচি শহরের কাছে একটি সামরিক স্থাপনায় বেলারুশ সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ওয়াগনার যোদ্ধারা।
এর আগে, গত ২৩ জুন রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ওয়াগনার যোদ্ধারা। তারা রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন শহরে ঢুকে পড়ে এবং এর বেশকিছু সামরিক স্থাপনা দখলে নেয়। এরপর ২৪ জুন তারা বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ থেকে সরে আসতে সম্মত হয়।
এদিকে, ২৪ জুনের পর থেকে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি।
তবে বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রুশ সংবাদমাধ্যম কোমারসান্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
তিনি জানান, গত মাসে ওয়াগনার বিদ্রোহের কয়েকদিন পরই প্রায় তিন ডজন ওয়াগনার যোদ্ধা ও তাদের নেতা প্রিগোজিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বিদ্রোহের পরও ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারকে রাশিয়ায় কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি ইউক্রেনে আগের সেই কমান্ডারের অধীনেই লড়াই করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।