অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ফাইল ছবি
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে বনানীতে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, হিরো আলমকে মারধর অনাকাঙ্ক্ষিত। তীব্রভাবে এর নিন্দা জানাচ্ছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাবো।
এ সময় হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় চারজন আটক হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রার্থীদের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’
এছাড়া দুই-একটি ত্রুটি-বিচ্যুতি ছাড়া নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে বলেও দাবি করেন অধ্যাপক আরাফাত।
এরআগে, দুপুরে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে হিরো আলম মারধরের শিকার হন। কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে বাইরে অবস্থান করা একদল লোক ‘ভুয়া ভুয়া’ চিৎকার দিয়ে তার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলমকে মারধর করা হয়েছে কি না, সেটি ভিডিও ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মনির হোসাইন খান। তিনি দাবি করেন, ‘ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।’
এর আগে বিভিন্ন কেন্দ্রে নিজের এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন হিরো আলম।
এদিকে উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অনেক কম ছিল।
রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন নানা কারণে দেশবাসীর মনোযোগ কেড়েছে। গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য হয়। এই আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০।