কুমিল্লা জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসে সেবাগ্রহীতাদের দীর্ঘ সারি। ছবি সংগৃহীত
অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে কুমিল্লা জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসে। দালালদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এখানকার সেবাগ্রহীতারা। দালাল না ধরলেই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাদের।
প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৭০০ জন বিদেশগামী এই অফিসে সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন ভোর থেকেই শুরু হয় লাইন ধরে দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা। তখনই দালালদের আনাগোনা দেখা যায়। সেবাগ্রহীতাদের অল্প সময়ে সেবা দেয়ার আশ্বস্ত করে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দাবি করে, অন্যথায় ভোগান্তির হুমকি দেয়া হয়।
আঙুলের ছাপ দিতে আসা রুপন নামে এক সেবাগ্রহীতা বলেন, ‘আমি রেজিস্ট্রেশন করে আঙুলের ছাপ দিতে এসে সারা দিন অপেক্ষা করেছি, কিন্তু আঙুলের ছাপ নেয়া হয়নি। কারণ, আমি কোনো দালাল ধরিনি। অথচ আমার সঙ্গে আসা ও আমার পরে আসা অনেকে দালালের মাধ্যমে এসেই দ্রুত সময়ে আঙুলের ছাপ দিয়ে চলে যায়। আমরা প্রবাসে গিয়ে কষ্ট করে আয় করে দেশের জন্য রেমিট্যান্স পাঠাই, অথচ আমরা আজ দালালদের হাতে জিম্মি।’
আরেক সেবাগ্রহীতা সামিম বলেন, ‘লাইনে থাকাকালে দালাল ১৫০০ টাকা দিলে দ্রুত আঙুলের ছাপ দিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করে দেবে বলে জানায়। আমি তার কথা শুনিনি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ভুল করেছি। দালাল না ধরায় কী পরিমাণ ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে, তা বলে বোঝানো যাবে না।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের সহকারী পরিচালক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘এমন কিছু অভিযোগ আমরা আগে পেয়েছিলাম। সেবাগ্রহীতা এসে জানানোর পর ওই দালালকে চিহ্নিত করে সেবাগ্রহীতার টাকা উদ্ধার করে দিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেব।
দীর্ঘ সময়ের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে সার্ভারে সমস্যা হওয়ার কারণে সেবাগ্রহীতাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।’