জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস। ছবি: সংগৃহীত
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে বিশ্ব। ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলছে প্রচণ্ড তাপ প্রবাহ। ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার একজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস হতে পারে চলতি জুলাই মাস। এটি হতে পারে কয়েকশ এমনকি হাজার বছরের মধ্যে উষ্ণতম মাস।
তারই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস এক ভয়ঙ্কর মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়নের যুগ শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন এমন একটা যুগে প্রবেশ করেছি যেখানে সবকিছু প্রচণ্ড তাপে পানির মতো টগবগ করে ফুটছে।‘
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে গুতেরেস বলেন, ‘জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। এটি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। আর এটা কেবল শুরু।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর সবচেয়ে খারাপ জলবায়ুর পরিবর্তন এড়িয়ে যেতে পারি। তবে এর জন্য আমাদের খুদই দ্রুত কোনও পদক্ষেপ নিতে হবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও মেইন ইউনিভার্সিটির পরিচালিত সরঞ্জামের হিসাব অনুসারে এরইমধ্যে গরম ও তাপপ্রবাহের দৈনিক রেকর্ডগুলো ভেঙে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে নাসার ব্রিফিংয়ে গ্যাভিন শ্মিট বলেন, যদিও এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সামান্য মতভিন্নতা রয়েছে তারপরও প্রচণ্ড তাপের প্রবণতাটি সন্দেহাতীত এবং এই বিষয়টি সম্ভবত মার্কিন সংস্থাগুলোর প্রস্তুতকৃত মাসিক প্রতিবেদনে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা বিশ্বে অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। আমরা ইউরোপে, চীনে এবং যুক্তরাষ্ট্রে যে তাপপ্রবাহ দেখছি তা আসলে সব রেকর্ড ভেঙে ফেলছে।’ আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০২৩ সাল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হবে।
বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনা করে শ্মিট বলেন, এই সুযোগ ৫০-৫০ রয়েছে। তিনি বলেন, অন্যান্য বিজ্ঞানীরা এটিকে ৮০ শতাংশের বেশি রেখেছেন। নাসার এই বিশেষজ্ঞ বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি যে ২০২৪ আরও উষ্ণতম বছর হবে।