কোমরের ইনজুরিতে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তামিম। ছবি: সংগৃহীত
লন্ডনে মেরুদণ্ডের চিকিৎসা শুরু করেছেন তামিম ইকবাল। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে বেশ কয়েকটি ইনজেকশন দেয়া হয়েছে তার কোমরে। আপাতত বিশ্রামে থাকবেন তিনি। পরে ব্যথা আবারো ফিরে এলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হবে দেশসেরা ওপেনারকে।
তামিম ইকবালকে নিয়ে শঙ্কাটা যেন কাটছেই না। নানা নাটকীয়তায় অবসরের ঘোষণা দেয়ার পর একদিনের মধ্যেই আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে অবসর ভাঙলেও এখনও মাঠের বাইরে দেশসেরা ওপেনার। ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নিয়েছেন দেড় মাসের। তবে এ সময়টায় মেরুদণ্ডের চিকিৎসা করানোর কথা তার।
পরিবারসহ দুবাইয়ে অবকাশ যাপনের পর চিকিৎসার কারণেই এখন লন্ডনে অবস্থান করছেন তামিম। সেখানে আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে। গত মঙ্গলবার পিঠের ব্যথা উপশমের জন্য এমআরআই করানো হয় তার। এরপর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) থেকে চিকিৎসা শুরু হবে তার।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক গতকাল সন্ধ্যায় বেশ কয়েকটি ইনজেকশন দেয়া হয়েছে তামিমকে। আপাতত বিশ্রামে থাকবেন তামিম, ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য কিছুটা সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। তামিমের মেরুদণ্ডের ক্ষয় ধরা দুই ডিস্কে তিন থেকে চারটি ইনজেকশন দেয়া হয়েছে। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক ডাক্তার দেবাশিষ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) আবার হাসপাতালে যাবেন তামিম। সেখানে তাকে পর্যবেক্ষণের পর পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন চিকিৎসকরা। মূলত তামিমের শরীরে ইনিজকেশনের কার্যক্ষমতা বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তও নেয়া হতে পারে।
তামিমকে আপাতত মেরুদণ্ডের স্নায়ু নিস্তেজ করার জন্য এই ইনজেকশনগুলো দেয়া হয়েছে। সাধারণত দুই থেকে তিন মাস অ্যাথলেটদের শরীরে এসব ইনজেকশনের কার্যকারীতা বহাল থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে অনেকের শরীরে কম-বেশিও হতে পারে। আগের দফায় এই ইনজেকশন নিয়ে প্রায় তিন মাস ২২ গজ দাপিয়েছেন তামিম ইকবাল।
এ দফায় যদি ইনজেকশনেই কাজ হয়ে যায়, তাহলে এশিয়া কাপের আগেই তামিম সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে ধারণা করছে বিসিবি’র মেডিকেল বিভাগ। সেক্ষেত্রে ১০ দিন বিশ্রামে থাকার পর ফিটনেস ট্রেনিংয়ে ফিরতে পারবেন তামিম। যদিও সেখানে থেকে যাবে একটা আশঙ্কা। কারণ, অনুশীলনে ফেরার পর যদি ব্যথা ফিরে আসে, তখন আবারো ইনজেকশন নিতে হবে তাকে। কিন্তু বারবার একই সমস্যা হলে অস্ত্রোপচার করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না তামিম ইকবালের সামনে।