গাবতলীতে দু’দলের সংঘর্ষের সময় আহত হয় এই শিশু। ছবি
ঢাকায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের সময় গাবতলীতে গুরুতর আহত হয়েছে এক শিশু।
শনিবার (২৯ জুলাই) সকাল থেকে গাবতলী বাস টামিনালে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও।
দুই দলের মধ্যে দফায় দফায় চলছে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া। এ সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মাথা ফেটে যায় এক শিশুর। এ ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন; আটক করা হয়েছে অনেককে।
গাবতলীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষের সময় আহত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ সময় তার মাথা থেকে রক্ত ঝরতে দেখা গেছে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। গয়েশ্বর চন্দ্র ছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিএনপির অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণার শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীনরা। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান কর্মসূচি পালনে অনুমতি দেয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রাতে ডিএমপির গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পাঠানো এসএমএসে ডিএমপি কমিশনারকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানানো হয়।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। সেইসঙ্গে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বাবুবাজার ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্তে কদমতলী এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেন কেরানীগঞ্জ, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ ছাড়াও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন তারা।
এ সময় বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে চাইলে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। কয়েক জায়গায় মাইক, চেয়ার জব্দ করে নেয়া হয়। তারপর লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে সড়কে নামেন বিএনপিকর্মীরা।