বলিউড অভিনেতা আলিয়া ভাট অভিনীত ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ সিনেমাটি নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। ইতোমধ্যে সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত সিনেমাটির ট্রেইলার প্রকাশ পেয়েছে। সিনেমাটি বেশ কয়েকদিন ধরে মুক্তির কথা থাকলেও বার বার তারিখ পেছানো হচ্ছিল। সব জল্পনা শেষ করে অবশেষে এ মাসেই বড় পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে আলিয়া ভাট অভিনীত ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’। ২৫ ফেব্রুয়ারি এই ছবি মুক্তির দিন স্থির হয়েছে।
তৃতীয় লিঙ্গের এক বা একাধিক চরিত্র আজকাল বলিউডের ছবিতে হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু সেই সমস্ত চরিত্রে অভিনয় করতে সত্যিকারের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকেই ডাকা হয়েছে, এমন নজির বলিউডে খুব কম। পুরুষদের নারীর সাজে সাজিয়েই তৃতীয় লিঙ্গের রূপ দেওয়া হয় বেশিরভাগ বলিউডি ছবিতে। সম্প্রতি আলিয়া ভাট অভিনীত ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ ছবিতেও এই বিতর্ক মাথা চারা দিয়েছে।
দেখা গেছে সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত ‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’ ছবির মুখ্য ভূমিকায় আলিয়া ভাট অভিনয় করছেন মুম্বাইয়ের এক দাপুটে যৌনকর্মীর চরিত্রে। সেখানেই ‘গাঙ্গুবাই’ আলিয়ার শত্রু রাজিয়া বাই, চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেতা বিজয় রাজ।
বিজয় রাজের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে না। বরং তার অভিনয়ে আরও একবার মুগ্ধ হয়েছেন দর্শকরা। কিন্তু প্রশ্নও উঠেছে কেন রাজিয়া বাইয়ের চরিত্রে কোনও ট্রান্স ওমেনকে নেওয়া গেল না? কেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরাই তাদের চরিত্র বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না?
বলিউড ছেলেদের মেয়ে সাজানোর সেই বাধা গত থেকে কি আর বেরোতে পারবে না? এর আগে পাতাললোক নামের ওয়েবসিরিজে তৃতীয় লিঙ্গের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল মণিপুরের ট্রান্সজেন্ডার অভিনেতা মারিয়েমবাম রোনাল্ডো সিংকে। তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল।
কিন্তু বলিউডে বারবার এমন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য পুরুষ অভিনেতাদেরকেই বেছে নেওয়া হচ্ছে, এতে আপত্তি জানিয়েছেন কেউ কেউ। নেটিজেনদের একাংশ জানিয়েছে, বলিউডে যেন ট্যাবু রয়েছে, ২০২২ সালে পৌঁছেও তারা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের স্বীকৃতি দিতে পারছে না।
এভাবে তাদের কাজের সুযোগও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই দাবি করছেন তৃতীয় লিঙ্গের চরিত্রে যদি তাদেরকেই অভিনয়ের সুযোগ দেওয়া হয় তবে সেই চরিত্র পর্দায় আরও বাস্তব হয়ে উঠবে।