প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালীন ওষুধ, মেডিকেল সরঞ্জাম, সংশ্লিষ্ট সামগ্রী সংগ্রহের দরপত্র এবং বিল পরিশোধের বিষয়ে জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) আবেদন করেছিলেন ভারতের এক ব্যক্তি। সম্প্রতি তাকে ৪০ হাজার পৃষ্ঠার উত্তর দিয়েছে মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতর। তবে তার এই উত্তরের জন্য কোন টাকা খরচ করতে হয়নি।
শনিবার (২৯ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র শুক্লা তথ্য চেয়ে আবেদন করেছিলেন স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতরে। কিন্তু এক মাসের মধ্যে উত্তর না দেয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন তিনি।
ধর্মেন্দ্র শুক্লাও বলেন, আমি ইন্দোরের চিফ মেডিকেল অ্যান্ড হেলথ অফিসারের (সিএমএইচও) কাছে একটি আরটিআই আবেদন জমা দিয়েছিলাম। যেখানে কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন ওষুধ, সরঞ্জাম এবং সংশ্লিষ্ট উপকরণের মূল্য চেয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলাম।
তাকে এক মাসের মধ্যে তথ্য সরবরাহ না করায়, তিনি প্রথম আপিল কর্মকর্তা ড. শারদ গুপ্তের কাছে যান। ড. শারদ গুপ্ত আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং নির্দেশ দেন, তাকে বিনামূল্যে তথ্য দেয়া হবে।
এক মাসের মধ্যে উত্তর দেয়া হলে প্রতি পৃষ্ঠার জন্য দুই রুপি করে দিতে হতো শুক্লাওকে। কর্তৃপক্ষের বিলম্বের কারণে কোনো টাকা দিতে হয়নি তাকে।
তবে স্বাস্থ্য দফতরের দেয়া ৪০ হাজার পৃষ্ঠার উত্তর বাড়ি নিয়ে যেতে একটি এসইউভি লেগেছে। ধর্মেন্দ্র বলেন, নথিপত্র আনতে আমি আমার এসইউভি নিয়ে গিয়েছিলাম। পুরো গাড়ি ভর্তি হয়ে গিয়েছিল।
এদিকে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মকর্তা শরদ গুপ্তা জানিয়েছেন, আবদেনকারীকে বিনামূল্যে তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। যাদের অবহেলায় রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ৮০ হাজার রুপি ক্ষতি হলো, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।