সপ্তম ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আটটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটায় ১৫ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের লাইভ বক্তৃতায় কাদের মির্জা নিজের বড় ভাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে জানিয়েছেন, এই পাতানো নির্বাচন তিনি মানেন না।
এসময় কাদের মির্জা বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে এই নির্বাচন হবে জানলে এই নির্বাচনের সঙ্গে জড়াতাম না। এই এলাকায় ডিসি–এসপির সাজানো নির্বাচন আজ এখানে হয়ে গেছে। চরের ভূমি দখলের মতো ভোটকেন্দ্র দখল হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে মন্ত্রী মহোদয়ের (ওবায়দুল কাদের) তিন ভাগনেকে জেতানোর জন্য যা যা করা দরকার, তা করা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদেরের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, ‘গোলাগুলি করে হিন্দু ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে না দিয়ে এখানে (চর পার্বতী ইউপি) জামায়াতের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য সহযোগিতা করেছে এখানকার প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত এখানে চেষ্টাও করেছে জামায়াতের প্রার্থীকে হারিয়ে তার ভাগনেকে জেতানোর জন্য। সে ৩ নম্বর ছিল বিধায় সেটা সম্ভব হয়নি।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘চর ফকিরাতে সকাল বেলায় তিনটি কেন্দ্র দখল করে মন্ত্রীর আরেক ভাগনে ফুফাতো বোনের ছেলে জয়দল হককে সেখানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাহলে দেখেন, এই নির্বাচন করার কী দরকার ছিল। আপনি ঘোষণা দিয়ে নিয়ে যেতেন, আপনার খেয়াল খুশিমতো জিতিয়ে নিতেন। মুছাপুরে আইয়ুব আলী জিতেছেন, কান্নাকাটি করে প্রশাসনকে টাকা দিয়ে। ওবায়দুল কাদেরের সাজানো নির্বাচন আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা আগামীকাল আমাদের নেতাদের নিয়ে বসব, সিদ্ধান্ত নেব। আজ আমাকে দাফন করেছে কোম্পানীগঞ্জ। আমার ৪৮ বছরের রাজনীতি। জীবনে রাজনীতিতে কোনো পদ পদবিতে যেতে পারিনি, সে দেয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে গেছি, সেখানেও পড়ালেখা করতে দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জন্য রাজনীতি আসেনি। রাজনীতিতে অস্ত্রের প্রয়োজন, টাকার প্রয়োজন। ওবায়দুল কাদের সাহেবেরা পারে না, এমন কোনো কাজ নেই। এটা তাদের পক্ষেই সম্ভব। আমার ছেলেকে দুবার মেরেছে। একবার সহানুভূতিও দেখায়নি। ওবায়দুল কাদের এত হিংস্র। তার ভাগনেকে দিয়ে আমার ছেলের ওপর আঘাত করেছে রামপুরে।’
সপ্তম ধাপে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নোয়াখালীর তিন ইউনিয়নে ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জার তিন ভাগনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে রামপুরা ইউপিতে জয় পেয়েছেন সিরাজিস সালেকিন ও চর ফকিরা ইউপিতে জয়দলহক জয় পেয়েছেন। পার্বতী ইউপিতে জামায়াত–সমর্থিত প্রার্থীর কাছে হেরেছেন কাদেরের আরেক ভাগনে মাহবুবুর রশিদ।