চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা। ছবি: সংগৃহীত
জলাবদ্ধতার কারণে অবরুদ্ধ চট্টগ্রাম নগরবাসী। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে পুরো নগরী পানির নিচে। নগরজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ ও অবর্ণনীয় কষ্ট। রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি সবকিছু পানির নিচে।
নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, দীর্ঘ যানজট নগরজুড়ে। গত তিনদিন ধরে পানিতে বন্দী নগরবাসী। কোথাও কোমর সমান, আবার কোথাও গলা সমান পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক ও অলিগলি। যানবাহন আটকে বিপাকে মানুষ। মুরাদপুর, চকবাজার ও বহদ্দারহাটসহ অন্তত ৫০টি এলাকা পানির নিচে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে এবারের জলাবদ্ধতা।
রোববার (৬ আগস্ট) সকালে ঘর থেকে বের হয়ে চরম দুর্ভোগে পথচারীরা। পথচারী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঘর থেকে বের হয়েছি ভোরে। পানির কারণে আটকে আছি। কোমর পানিতে রিকশা চলাচল করছে না। অফিসে যেতে হলে সাঁতার কেটে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।’
সকালে ঘর থেকে বের হয়ে সড়কে আটকে যান কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। অনেকেই পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারেননি কেন্দ্রে। তাদের দাবি পরীক্ষা স্থগিতের।
হাটাহাজারিতে ডিগ্রি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন মাহমুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে পারব কি না জানি না। যদি পরীক্ষা স্থগিত করা হয় আমাদের জন্য ভালো হয়। অনেক শিক্ষার্থী পথে আটকে আছে।’
জনজীবনে যখন স্থবিরতা তখন অস্বস্তিকর অবস্থায় ঘরবন্দি নগর পিতাও। পানির নিচে তলিয়ে গেছে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িও। ডুবে গেছে আশেপাশের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।
২০১৭ সাল থেকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ, সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দেয়া হয়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প। যদিও জলাবদ্ধতার জন্য বেশি দায়ী ৫৭টি খাল। আর এ নিয়ে রশি টানাটানি চলছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে।
এদিকে সকাল ৯টার পর্যন্ত ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত থাকবে বৃষ্টি, জানায় আবহাওয়া অধিদফতর।