সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
প্রধান সংবাদ :
বরিশালের কাজির হাট থানায় বিদ্যানন্দপুর ইউনিয়নে সেনা সদস্যের নামে মিথ্যা মামলা। বরিশাল আদালতের সামনে মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিমকে মেয়র ঘোষণার জন্য অবস্থান কর্মসূচি করে আগামী ৩ বছরের জন্য বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন । মুফতি ফয়জুল করীম কে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঘোষণার দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত। বরিশাল সিটি নির্বাচনে জালিয়াতিপূর্ণ ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে হাতপাখার প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণার দাবীতে মামলা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বরিশাল নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম , বরিশাল সিটি মেয়র হিসেবে ঘোষণা চান তিনি । ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে কিছু পণ্যে আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি করলো এনবিআর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভান্ডারিয়াগামী যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহন বাস খাদে পড়ে ১৩ যাত্রী গুরুতর আহত বাংলা শুভ নববর্ষ , উদ্যাপন উপলক্ষে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা কাশিপুর বাজারে বাস ট্রাক সংঘর্ষে ট্রাকের ড্রাইভার আহত।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কী ছিল

মহানগর, একুশে ডেস্ক
  • প্রকাশিতঃ সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩
  • ৮২ জন নিউজটি পড়েছেন

প্রতীকী ছবি

বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে একটি নতুন আইন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি পরিবর্তন বিষয়ে খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।

তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা বাতিল করে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পাস হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনটি প্রণয়নের পর গণমাধ্যমকর্মী এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

কারণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মানবাধিকারকর্মী থেকে শুরু করে গণমাধ্যমকর্মী এবং সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্টরাও আতঙ্কে ছিল। এ আইন প্রণয়নের পর থেকে এটির ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে।

এ রকম প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের অধিকার সমুন্নত রাখা, সর্বোপরি মানুষের মৌলিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলে। কী ছিল এই আইনটিতে-

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মোট ৫৩ ধারার মধ্যে ১৪টিই ছিল কঠোর। ধারাগুলোর মধ্যে ছিল-ধারা ১৭, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৬, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪। এসব ধারায় কারো বিরুদ্ধ মামলা হলে জামিন ছিল অযোগ্য।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১) ধারায় বলা হয়, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে- (ক) ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, তাহলে তা হইবে একটি অপরাধ।’ এ ধারায় ব্যবহৃত ‘প্রেরণ’ শব্দটি বিভ্রান্তিমূলক। এই বিভ্রান্তির সুযোগে আইনটির অপপ্রয়োগ হচ্ছে। ‘প্রেরণ’ শব্দটিকে নানাভাবে এবং সুবিধামতো ব্যাখ্যা করার কারণে নিরপরাধ ব্যক্তিও এই ধারায় ফেঁসে যাচ্ছেন।

আইনটির ২৯ (১) ধারায় বলা হয়, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দণ্ডবিধি, ১৮৬০–এর ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচার করেন, তজ্জন্য তিনি অনধিক ৩ (তিন) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লাখ টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানহানির ব্যাখ্যায় দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ৪৯৯ ধারার ব্যাখ্যাগুলো সুনির্দিষ্ট করে আইনে বলে দেয়া নেই। ফলে ৪৯৯ ধারায় আসলে কী আছে, তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কিংবা অভিযোগকারীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই খতিয়ে দেখেন না-এমনটাই প্রতীয়মান হয়েছে। এ ধারায় শাস্তি দণ্ডবিধির ৫০০ ধারার (মানহানির শাস্তি) চেয়ে বেশি। দণ্ডবিধির ৪৯৯ ধারায় বর্ণিত অপরাধের জন্য শাস্তির ক্ষেত্রে ৫০০ ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে একই অপরাধ ডিজিটাল মাধ্যমে করলে সেক্ষেত্রে এ আইনে ৩ বছরের কারাদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। এর ফলে একই অপরাধ ভিন্ন শাস্তি হয়ে যাচ্ছে যা ন্যায়ঙ্গত নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আইনের ৩১ (১) ধারায় বলা হয়, ‘যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন বা করান, যাহা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অথবা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় বা ঘটিবার উপক্রম হয়, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।’ এ ধারায় উল্লেখিত ‘সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা বা বিদ্বেষ সৃষ্টি করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে বা অস্থিরতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে’—এসব কথার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা নেই। ফলে যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।

৩২ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট, ১৯২৩– এর আওতাভুক্ত কোনো অপরাধ কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটন করেন বা করিতে সহায়তা করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ২৫ (পঁচিশ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের কথা বলা হলেও তা সুনির্দিষ্ট হয়নি। তার চেয়ে বড় কথা, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে তৈরি একটি আইন। এ আইন যুগোপযোগী নয় এবং এটি নিয়ে অনেক ধরনের প্রশ্ন রয়েছে। এর ফলে আইনটি অপপ্রয়োগের একটি বিশাল ক্ষেত্র তৈরি হয়ে আছে এবং এর অপব্যবহারও হচ্ছে।

৩৬ (১) ধারায় বলা হয়, ‘কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে, উক্ত অপরাধের সহিত প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে কোম্পানির এইরূপ প্রত্যেক মালিক, প্রধান নির্বাহী, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে সক্ষম হন যে, উক্ত অপরাধ তাহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে বা উক্ত অপরাধ রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন।’ আইনের ধারায় ম্যানেজার, সচিব, অংশীদার বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা প্রতিনিধিকে সংযোজন একটি মারাত্মক ত্রুটি এবং আইনের একটি সীমাবদ্ধতাও বটে। এখানে বলা হয়েছে, কোম্পানি অপরাধ করলে তার কর্মকর্তা–কর্মচারী অভিযুক্ত হবেন যদিও যদি না তিনি প্রমাণ করতে সক্ষম হন যে উক্ত অপরাধ তার অজ্ঞাতসারে হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তি কীভাবে তাৎক্ষণিক প্রমাণ করবে যে, সে অভিযুক্ত নয়? এ আইনে মামলা হলে পর গ্রেফতার হতে হয় কিংবা আদালতে জামিন চাইতে হয়। এ ক্ষেত্রে অজামিনযোগ্য ধারা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোন কর্মকর্তা জড়িত আছে বা নেই, তা আমাদের বিচারব্যবস্থায় প্রমাণ করা সম্ভব নয়। এ কারণে আইনের এ ধারাও হয়রানিমূলকভাবে ব্যবহার করা হয়।

একুশে বিডি ডটকম এর জন্য সারাদেশে সংবাদ দাতা নিয়োগ চলছে
যোগাযোগঃ- 01773411136,01778927878 ekusheybd2021@gmail.com

আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন

Salat Times

    Dhaka, Bangladesh
    Monday, 21st April, 2025
    SalatTime
    Fajr4:14 AM
    Sunrise5:32 AM
    Zuhr11:57 AM
    Asr3:24 PM
    Magrib6:22 PM
    Isha7:41 PM
© All rights reserved © 2019 ekusheybd.com
Theme Customized BY mrhostbd.com
themesba-lates1749691102