জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনের জন্য মুজিববর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বর্ষে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে ‘‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’’-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে ভূমিহীন-গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। উক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বরিশাল জেলায় ৫৯৩৫টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার তালিকাভূক্ত করা হয়েছে।
৫৯৩৫টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ৩২৪০টি গৃহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ভোধন করে উপকারভোগী পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।
নতুন করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম নিয়ে সোমবার সকাল ১১ টায় বরিশাল বরিশাল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহ মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক গৌতম বাড়ৈ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সোহেল মারুফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘরাই, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার ও আরডিসি মোঃ মহিন উদ্দিন।
এছাড়া জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, সুধী জন, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪র্থ পর্যায়ে ভূমিহীণ ও গৃহহীণ পরিবারকে জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রম ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। ৪র্থ পর্যায়ে বরিশাল জেলার ১০ টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮৭৪টি পরিবারের জন্য নির্মিতব্য গৃহ হতে কবুলিয়তসহ গৃহ উপকারভোগী পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। বরিশাল জেলার উপজেলা সমূহের গৃহ হচ্ছে বরিশাল সদর ২৫৬ টি, মেহেন্দিগঞ্জ ১৫০ টি, উজিরপুর ২০ টি, বানারীপাড়া ১৬৩ টি, মুলাদী ২০ টি, বাবুগঞ্জ ৬২ টি, হিজলা ১৬৮ টি, আগৈলঝাড়া ৩৫ টি মোট ৮৭৪ টি গৃহ। অসমাপ্ত বাকি গৃহ ও কবুলিয়ত সম্পাদনের কাজ দ্রুত সমাপ্ত করা হবে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি এক অনন্য মানবিক উদ্যোগ, এর মাধ্যমে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায়, জনগোষ্ঠির পুনর্বাসন হবে ও আয়বর্ধক কর্মকান্ড সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূর হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় জেলার উপকারভোগী পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় আয়বর্ধক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে, যাতে তারা সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত হয়ে নিজেদের জীবনমান উন্নয়নে সক্ষম হয়। এ প্রক্রিয়ায় দেশে দারিদ্র্য দূরীকরণের পাশাপাশি বিনির্মিত হবে সুখী সমৃদ্ধ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা।