রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
গ্যাসভিত্তিক তিন বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ল। ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) আশুলিয়া, মাধবদী ও চান্দিনার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে।
বুধবার (৯ আগস্ট) দুপুরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপষিদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আমিন আল আহসান বলেন, পিডিবির আশুলিয়া ৩৩.৭৫ মেগাওয়াট, মাধবদী ২৪.৩০ মেগাওয়াট ও চান্দিনা ১৩.৫০ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ কার্যকরের তারিখ (effect date) থেকে পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্ধিত মেয়াদে স্পন্সর কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডকে ট্যারিফ কিলোওয়াট ঘণ্টা ৫ টাকা ৬৫ পয়সা হিসাবে ১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।
একই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন পিডিবির নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলায় ৫০ মেগাওয়াট (এসি) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের ট্যারিফ ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ট্যারিফ ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ক্রয় করা হলে ২০ বছর মেয়াদে দরদাতা কনসোর্টিয়াম অব এএসকে নিউ এনার্জি কো. লিমিটেড, এ জে পাওয়ার কো. লিমিটেড এবং এটিএন সল্যুশনস লিমিটেডকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা ১০ টাকা ৬৯৮ পয়সা হিসাবে আনুমানিক ১ হাজার ৭৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
এ ছাড়া একই মন্ত্রণালয়ের অধীন পিবিডির ঘোড়াশাল ৩৬৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের শিডিউল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্ক সিমেন্স জার্মানির কাছ থেকে ২৯৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৩ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঘোড়াশাল তৃতীয় ইউনিট রি-পাওয়ার্ড কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস টারবাইনের ক্ষতিগ্রস্ত কম্প্রেশার মেরামত সেবা জিটি অংশের মূল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক (সুইজারল্যান্ড) জিএমবিএইচ থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজ (বুধবার) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১৭তম এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ২৫তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৪টি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৭টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।
