নোঙর প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে বিএনএম। প্রতীকী ছবি
নিজেদের প্রতীক ‘লাঙ্গল’ এর সঙ্গে নতুন নিবন্ধন পাওয়া দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম এর ‘নোঙ্গর’ প্রতীক কিছুটা মিলে যাওয়ায় তা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
রোববার (১৩ আগস্ট) এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে দলটি। সকালে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু স্বাক্ষরিত চিঠিটি সিইসির কাছে তুলে দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল হক ভুঁইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নতুন নিবন্ধন পাওয়া দলগুলোকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) কে যে ‘নোঙ্গর’ প্রতীক দেয়া হয়েছে- তাতে আমাদের আপত্তি আছে।
আপত্তির দুটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। প্রথম কারণ হলো- ‘নোঙ্গর’ এবং ‘লাঙ্গল’ উচ্চারণের মধ্যে কিছুটা আন্তমিল রয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই দুই প্রতীকের ছবিতে কিছুটা সাদৃশ্যও আছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী ব্যালটে এই দুই প্রতীকের ছবি থাকলে ভোটারগণ বিভ্রান্ত হতে পারেন।
উদাহরণ হিসেবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এক সময় একটি রাজনৈতিক দলকে ‘জাহাজ’ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। ব্যালটে ‘নৌকা’র ছবির সঙ্গে তার কিছুটা সাদৃশ্য দেখায় আপত্তি উত্থাপিত হলে ওই প্রতীকটি বাদ দেয়া হয়।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকেও (বিএসপি) নিবন্ধন দিয়েছে কমিশন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন সর্বসম্মতিক্রমে এ দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইসি সচিবালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার পর সংশ্লিষ্ট দল দুটোকে নিবন্ধন সনদ দেয়া হবে। দলীয় প্রতীক হিসেবে বিএনএম ‘নোঙর’ এবং বিএসপি পেয়েছে ‘একতারা’। দল দুটির প্রার্থীরা স্ব স্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
নতুন এই দুই দলের নিবন্ধ পাওয়ার মধ্যদিয়ে বর্তমানে ইসির নিবন্ধিত দলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪।
২০২২ সালের মে মাসে নতুন দলগুলোকে নিবন্ধনের জন্য আবেদনের সুযোগ দেয় ইসি। বেঁধে দেয়া তিন মাসে সাড়া না পেয়ে অক্টোবর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এই সময়ের মধ্যে প্রায় একশ’ নতুন দল নিবন্ধন পেতে আবেদন করে। এর মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ দেয়া হয় ৮৭টি আবেদন। টিকে থাকা ১২টি দলের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয় বিএনএম ও বিএসপি।
দল হিসেবে নির্বাচনের জন্য ইসির নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে এ নিয়ম চালু করে ইসি। এ পর্যন্ত ৪৯টি দল কমিশনের নিবন্ধন পেয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বিভিন্ন সময়ে বাতিল হয়েছে।