নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বিএনপির কোনো ফায়দা হবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, সার্চ কমিটির সমালোচনা করে নির্বাচনে না গিয়ে দলটি আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। আর বিএনপি নেতারা বলছেন, সার্চ কমিটির সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের দ্বারা গঠিত কোনো কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলেন কামরুল ইসলাম। বলেন, নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে বিএনপি।
কামরুল বলেন, বিএনপি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেছে। তারা বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক মহলের কাছে ধর্না দিয়েছে। দেশের মানুষের কাছে তাদের কোনো ভিত্তি নেই। কাজেই এবারও বিশ্বের কাছে ধর্না দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কোনো ফায়দা হবে না।
মায়া বলেন, আকাশে মেঘ থাকে। আবার মেঘ কেটে যায়। কিন্তু শেখ হাসিনা এই মেঘকে সামনে রেখে এগিয়ে যায়। কোনো দুর্যোগ আসলে আমরা তা পবিত্রতার সঙ্গে মোকাবেলা করবো।
এদিকে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে অংশ না নিলে ক্ষতি বিএনপিরই হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি তো সিদ্ধান্ত নিয়েই বসে আছে যে তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না। এভাবে না বলতে বলতে তারা যে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই প্রশ্ন। বিএনপি যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা আত্মহননের মতো।
এদিকে, রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে নির্বাচিত সার্চ কমিটির সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
ফখরুল বলেন, যাদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা প্রায় সবাই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটা স্পষ্ট যে এই সার্চ কমিটির সুপারিশে যে নির্বাচন কমিটি গঠিত হবে, তাদের লক্ষ্য থাকবে বিদায়ী কমিশিনের মতোই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসা। এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই না।
নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হলে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।