শাহানা সুলতানা শাম্মির চারপাশে তার বিড়ালগুলো। ছবি
প্রতিদিন একটি-দুটো পরিচয়হীন বিড়ালের সাথে দেখা। তারপর ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয়া। একটা থেকে আরেকটা, বাড়তে বাড়তে দায়িত্ববোধ চলে আসা। আর দায়িত্ববোধ থেকেই পথে পাওয়া এসব বিড়ালের সঙ্গে বসবাস। এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন পশু প্রেমী শাহানা সুলতানা শাম্মি।
অবলা প্রাণীদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছেন বিড়ালের আবাসস্থল। তাই এলাকাবাসীও সখ করে নাম রেখেছেন বিড়াল বাড়ি। রংপুরের কেরিনাপাড়ায় পশু প্রেমী শাম্মির বাড়ি। মূলত অবলা প্রাণির প্রতি ভালবাসা থেকে শাম্মি পালছেন অভিভাবকহীন রাস্তার বিড়াল।
২০১২ সালে প্রথম বাড়ির ছাদে দেখা পান একটি বিড়ালের। সেখান থেকে শুরু বিড়ালের প্রতি ভালবাসা। শাম্মির ভালোবাসা ও আদর যত্নে আশপাশের ভবঘুরে বিড়ালগুলো তার কাছে আশ্রয় খুঁজে নেয়। আর পরম মমতায় তাদের সাদরে গ্রহণ করেন শাম্মি। যেভাবে একটি সন্তানকে লালন পালন করা হয় ঠিক সেভাবেই শাম্মির বাড়িতে বেড়ে ওঠে এসব দেশি বিড়াল।
পশু প্রেমী শিক্ষিকা শাহানা সুলতানা শাম্মি জানান, নানান সমস্যার সম্মুখীন হলেও থেমে যাননি তিনি। শিক্ষকতা করে যা আয় হয় তার বেশিরভাগই চলে যায় বিড়ালের খাবার, বাসস্থান আর চিকিৎসার খরচে।’
শাহানা সুলতানা শাম্মি আরও বলেন, ‘বিড়ালগুলোর বাহারি নাম দিয়েছি। সুজি, চেরি, টয়, টমেটো, টিনটিন বাহারি এসব নাম ধরে ডাকলে ছুটে আসে। করে আদরের আবদার। বেড়ালের ভাষা বুঝে তাদের আবদার মেটাতেও পিছপা হয়নি। অর্থ কষ্টে ভুগলেও বিড়ালগুলোকে নিয়ে স্বপ্ন বুনে চলছি।’
প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি বিড়ালের অবাধ বিচরণ শাম্মির বাড়িতে। কখনো বাড়ির নাম পরিবর্তন করলে অতি আদরের মারা যাওয়ার বিড়ালের নামে বাড়ির নাম রাখতে চান ‘মিউ হাউজ’।