পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় ভারতে পাচারের সময় ৫১ লাখ ৪৭ হাজার ৮৮৭ টাকা দামের সরস্বতীর নকল স্বর্ণমূর্তিসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের ফুটকীবাড়ি বাজার হতে তাদের আটক করা হয়। এসময় চোরাকারবারী চক্রের আরো পাঁচ সদস্য পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
পরে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় আটকদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
চোরাকারবারী চক্রের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত স্বরসতি মূর্তিটি সাড়ে ছয় ইঞ্চি উচ্চতার ও ৪৬ ভরি ১২ আনা ৪ রতি ওজনের। এর সাথে ৩২ ভরি ৭ আনা ওজনের একটি স্ট্যান্ডও রয়েছে।
আটক চোরাকারবারী চক্রের সদস্যরা হলেন- নীলফামারীর ডোমার উপজেলার খামার বামুনিয়া ডেপিরপাড় এলাকার শ্রী মধুরাম রায়ের ছেলে জীবন চন্দ্র রায় (৩০), একই উপজেলার পশ্চিম বড়বাউতা এলাকার আ. সালামের ছেলে আবু হানিফ (৪০), একই এলাকার সুফিয়ার রহমানের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (২৮), আজিবার রহমানের ছেলে ফারুক ইসলাম (৩৪), আব্দুল লতিফের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩০), চিকনমাটি বসতপাড়া এলাকার মৃত দারাজ মিয়ার ছেলে আবু তালেব (৪৮), মাহিগঞ্জ বাগডোকরা এলাকার শ্রী হরিস চন্দ্র রায়ের ছেলে শরৎ চন্দ্র রায় (২০), চিলাই এলাকার আনছারুল হকের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩৪), বড় রাউতা এলাকার মৃত আ. রহমানের ছেলে আব্দুল গফুর (৪৫), পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার খুটামারা সরকারপাড়া এলাকার শ্রী নবদ্বিপ চন্দ্র রায়ের ছেলে বিরেশ চন্দ্র রায় (২১)।
আটক ১০ জনসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করে বোদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বোদা থানায় পুরাকীর্তি আইন ১৯৬৮’র ২০ ও পেনাল কোড ৪০৬/৪২০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আটক দশজনকে আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের ফুটকীবাড়ি বাজার এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বোদা থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ১০ জনকে আটক করে পুলিশ। এসময় আরও পাঁচজন পালিয়ে যায়।
এই অভিযানের সময় মূর্তির পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল ও দশটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ চৌধুরী বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভারতে মূর্তি পাচার করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পরে ওই চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করলেও আরও পাঁচ সদস্য পালিয়ে যায়।
আগামীতেও চোরাচালানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।