বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধনের পর আইনজীবী মহাসমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলনের সুযোগে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা অনেক অপরাধী বেরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এদের প্রশ্রয় দিলে বাড়বে।জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আন্দোলনের সুযোগে আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা অনেক অপরাধী বেরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এদের প্রশ্রয় দিলে বাড়বে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবী মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র হাইকোর্টের পাশে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ১৫ তলা নতুন ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন ভবনটি উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ আইন ও বিভাগ অঙ্গনের শীর্ষ ব্যক্তিত্বরা। পরে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবী মহাসমাবেশে যোগ দেন সরকারপ্রধান। এ সময় তুমুল করতালি, হর্ষধ্বনি আর স্লোগানে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে স্বাগত জানায় আইনজীবী সমাজ। তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন,
অগ্নিসন্ত্রাস যারা করেছে, তাদের বিচার যেন দ্রুত হয়। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাই তো তাদের হাতে নির্যাতিত। তাহলে তাদের বিচারে কেন দেরি হবে? তাদের শাস্তি কেন দেরিতে হবে? তাদের বিচার কেন দ্রুত হবে না? অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা শুধু চালালেই হবে না, তারা যাতে যথাযথ শাস্তি পায় সে ব্যবস্থা আপনাদের করতে হবে। এটা আমার দাবি।
বিএনপির আন্দোলনে কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে আবারো অগ্নিসন্ত্রাস করলে আমরা ছেড়ে দেবো না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে এরা বাড়বে। কারণ অনেকে আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিলো, এখন আন্দোলনের সুযোগে একে একে সকলেই সামনে আসছে।
সরকার দেশকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে হামলার কারণে আবারো বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বাড়ছে, জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কেউ যেন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেজন্য প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে হবে।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জাতির পিতা হত্যার বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ে, তারা কখনো বেইমানদের রাখে না। সে কারণেই মোশতাককে সরিয়ে জিয়া আসে সামনে।
২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসেছিলো বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।