বাকেরগঞ্জে হয়রানি থেকে বাচতে প্রধান শিক্ষকের সংবাদ সম্মেলনে:
বরিশালের বাকেরগঞ্জে অপপ্রচার সহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একজন প্রধান শিক্ষক। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪ টায় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়নে অবস্থিত সাত্তালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী মোল্লা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সাত্তালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ৭ বছর যাবত কর্মরত আছি।আমার স্কুলের সহকারী শিক্ষক আফরোজা আক্তারের স্বামী ঢাকায় অবস্থান করায় সে প্রতিমাসে ৩-৪ বার স্বামীর সাথে ঢাকায় অবস্থান করে পূনরায় বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে আসছিলো। আমি স্বাক্ষর করতে নিষেধ করলে সে আমার উপর প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়। এছাড়া আফরোজা গত তিন বছর যাবত আমার কক্ষে (প্রধান শিক্ষকের কক্ষে) বড় দোলনা পেতে বাচ্চা লালন পালন করে আসছিলো।
গত ১৩ জুলাই ২০২৪ AUEO মহোদয় বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসলে আমার রুমে বাচ্চা রাখার ব্যাপারটা তার চোখে পরে। এর পরিপ্রেক্ষিতে AUEO মহোদয় আফরোজা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এ ঘটনায় আফরোজা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিতে থাকে।
অন্যদিকে আমার স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষকের ছোট বোন একই স্কুলের খালেদা আক্তার পারিবারিক কলহের একটি নারী নির্যাতন মামলায় ২০২৩ সালের ১৪ আগষ্ট থেকে২৪ আগষ্ট পর্যন্ত ১০ দিন জেল খাটে। পরবর্তীতে জেল থেকে বের হয়ে সে স্কুলের হাজিরা খাতায় উক্ত ১০ দিনের স্বাক্ষর করলে সরকারি বিধি মোতাবেক খালেদা আক্তারকে আমি নিষেধ করি। এতে খালেদা আক্তার আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন রকম ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে হাজতবাস করার অপরাধে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একারণে খালেদাও আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন ভাবে ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এছাড়া স্কুলের সহকারী শিক্ষক আফরোজা আক্তার, খালেদা আক্তারসহ তিনজন শিক্ষক এলাকার কিছু বখাটে লোকদের সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক বরাদ্ধ থেকে আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। যার ভয়েস রেকর্ড আমার কাছে সংরক্ষিত আছে( সাংবাদিকদের দেওয়া হয়েছে)
আমি এই টাকা না দিলে তারা আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।
এসকল ঘটনার প্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক আমি একাধিক বার থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। ডায়েরি নং ৭৯৮,তারিখ ২২-০৮-২০২৪, ডায়েরি নং ৬১৫,তারিখ ১৩-০৭-২০২২, ডায়েরি নং ৭২৭,তারিখ ১৭-০৮-২০২০।
এসকল বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য বিদ্যালয়ে আগামন করলে আফরোজা খানম কিছু ভাড়াটে লোকদের দিয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় আমার বিরুদ্ধে ভুয়া,মনগড়া, মিথ্যে ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করিয়েছে। আমি উক্ত নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।