ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক গণতন্ত্র সূচকে একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫তম হলেও, এবছরও হাইব্রিড রেজিম হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির প্রকাশিত বার্ষিক গণতন্ত্র সূচকে গণতন্ত্রের তালিকায় ১৬৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ৭৫তম। গত বছর এই স্থান ছিল ৭৬তম।
তাদের বেঞ্চমার্ক ১০ পয়েন্টের মধ্যে এই বছর বাংলাদেশের স্কোর পাঁচ দশমিক ৯৯। গত বছরও বাংলাদেশের স্কোর একই ছিল। এক দশমিক ০১ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে মিয়ানমার।
গণতন্ত্র সূচকের তালিকায় ৯ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডস। আর যুক্তরাষ্ট্রের স্থান হয়েছে ‘ক্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশের তালিকায়।
তালিকার সবচেয়ে নিচে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়া আরও আছে আফগানিস্তান, লিবিয়া, মিয়ানমার, ডিআর কঙ্গো, চাদ ও ইয়েমেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় গণতন্ত্রের বিচারে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। তালিকায় ভারতের অবস্থান ৪৬তম আর শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৬৭তম। ভুটান রয়েছে ৮১তম অবস্থানে, নেপাল ১০২তম ও পাকিস্তান ১০৪তম।
সূচক অনুযায়ী, ২০২১ সালে পৃথিবীর প্রায় ৫৪ শতাংশ মানুষ গণতন্ত্রের বাইরে অবস্থান করেন। আগের বছর এই হার ছিল ৫০ শতাংশ। ২০১০ সালের পর এটি এই সূচকের সবচেয়ে বড় পতন।
পাঁচটি মানদণ্ডে ১০ পয়েন্ট ধরে বিভিন্ন দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বিচার করে প্রতিবছর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এগুলো হলো, নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার।
সূচকে কোন দেশের গড় স্কোর আটের বেশি হলেই পূর্ণ গণতন্ত্র রয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। ছয় থেকে আট হলে ক্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র, চার থেকে ছয় হলে মিশ্র শাসন আর চারের নিচে হলে স্বৈরশাসন বলে ধরে নেয়া হয়।
বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থাকে ইআইইউ তৃতীয় শ্রেণির অর্থাৎ মিশ্র শাসনের অন্তর্ভুক্ত করেছে।